‘প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা যোজনায়’ সুদের হার বাড়াল না মোদী সরকার, চিন্তায় প্রবীণ নাগরিকরা
‘প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা যোজনায়’ সুদের হার বাড়াল না কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি অর্থবর্ষে যাঁরা এই প্রকল্প কিনবেন, তাঁরা বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে সুদ না বাড়ানোয় রীতিমতো চিন্তায় বয়স্ক নাগরিকরা। কারণ, এই প্রকল্প কেনার অধিকার আছে একমাত্র প্রবীণদেরই। বাজার চলতি প্রকল্পগুলিতে সুদ কমলেও, তাঁরা যাতে আর্থিকভাবে সঙ্কটে না পড়েন, তার গ্যারান্টি দিতেই প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত এই প্রকল্প আসে বাজারে। তার বিপণনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় জীবন বিমা নিগমকে।
বাজারের বিভিন্ন আমানত প্রকল্পে লাগাতারভাবে সুদ কমে যাওয়ার ফলে সঙ্কটে পড়েন প্রবীণরা। কর্মজীবনের জমানো টাকা গচ্ছিত রেখে তার সুদে বার্ধক্য জীবন অতিবাহিত করেন অনেকেই। তাঁদের দুশ্চিন্তা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বয় বন্দনা প্রকল্প ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। ৬০ বছর বয়স হলে যে কেউ প্রকল্পটি কিনতে পারবেন। তবে এই স্কিমে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা যায় না। সরকার জানায়, যাঁরা যোজনাটি কিনবেন, তাঁরা ১০ বছর ধরে পেনশন হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাবেন। মেয়াদ শেষে জমানো টাকার পুরোটাই ফেরত পাবেন গ্রাহক।
গত অর্থবর্ষের জন্য এই প্রকল্পে বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবছরের জন্য সেই হার একই রাখার কথা গত ১৮ এপ্রিল ঘোষণা করেছে জীবন বিমা নিগম। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্তই চালু থাকবে বয়স্ক নাগরিকদের প্রকল্পটি। তবে আগে যাঁরা ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা রেখে সেটি কিনেছেন, তাঁরা আর নতুন করে কিনতে পারবেন না। যোজনা চালু রাখতে যদি এলআইসির কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়, তাহলে তা পুষিয়ে দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের। প্রসঙ্গত, ডাকবিভাগের সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিমেও সরকার বর্তমানে ৭.৪ শতাংশ সুদ দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই সুদের হার তিনমাস অন্তর পর্যালোচনা করে কেন্দ্র। কিন্তু এক্ষেত্রে আর সুদের বদল হবে না।