কট্টর ডানপন্থীকে হারিয়ে ফের ফ্রান্সের মসনদে ম্যাক্রোঁ
টানা দ্বিতীয়বারের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিগত দুই দশকে এই প্রথমবার ফ্রান্সে কোনও প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেন। ভোট পরবর্তী সমীক্ষা অনুযায়ী, ম্যাক্রোঁর ঝুলিতে গিয়েছে ৫৭ থেকে ৫৮ শতাংশ ভোট। অপরদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কট্টর ডানপন্থী নেত্রী ম্যারিন লে পেন পান ৪১.৫ শতাংশ ভোট। ৪৪ বছর বয়সি ম্যাক্রোঁ ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে ম্যাক্রোঁর জয় স্থিতিশীলতা আনবে বলে আশা তাদের।
এদিকে প্রচারকালে লে পেনের ‘পুতিন প্রেমে’র বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন ম্যাক্রোঁ। এই আবহে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন ফ্রান্সে বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলি। যদিও এই প্রচারের বিরুদ্ধে লে পেন দাবি করেছিলেন যে তিনি কখনও ‘ফ্রান্সরে পরিত্যাগ করবেন না।’ তবে শেষ পর্যন্ত তাঁ সেই প্রতিশ্রুতিতে যে সাধারণ ফরাসিদের মন গলেনি, তা ভোটের ফলেই স্পষ্ট। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে হেরেও হাল ছাড়তে নারাজ লে পেন। আগামী জুন মাসে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হবে সংসদীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন পেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল ফ্রান্সে প্রথম পর্বে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে অংশ নিয়েছিলেন ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রথম দফার ভোটে শীর্ষে ছিলেন ম্যাক্রোঁ। তাঁর ঝুলিতে গিয়েছিল ২৭.৩৫ শতাংশ ভোট। অপরদিকে লে পেনের দখলে ছিল ২৩.৯৭ শতাংশ ভোট। এই পর্বের শীর্ষে থাকা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এরপর দ্বিতীয় পর্বে রান-অফে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম পর্বে ম্যাক্রোঁ ও পেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি টক্কর থাকলেও রান-অফে পেনকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যান ম্যাক্রোঁ। তবে এখন তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে চলা সংসদীয় নির্বাচনে নিজের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা।