দেশ বিভাগে ফিরে যান

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জের, বাড়তে চলেছে রেস্তোরাঁর খাবারের দাম

May 8, 2022 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: সংবাদ প্রতিদিন

বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই। দাম বেড়েছে ভোজ্য তেল থেকে চিকেন, রান্নার মশলাপাতি, কাঁচামাল, আনাজপাতি সবকিছুরই। তার কোপই এসে পড়েছে আমজনতার পকেটে। এক ধাক্কায় রেস্তরাঁর মেনুচার্টে দামের তালিকা বদলে গিয়েছে।

চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল থেকে বাঙালি খানার রেস্তরাঁয় পাঁচ পদ সাজিয়ে মাংস-ভাত। সবই এখন আরও দামী। ঊর্ধ্বমুখী বিরিয়ানির দামও। একটু ব্র‌্যান্ডেড দোকানের চিকেন বিরিয়ানি প্রায় ৩০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, “প্রত্যেকটা জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পুরনো দামে ক্রেতাকে খাওয়াব কেমন করে?” তাই মে মাস থেকে বেশিরভাগ রেস্তরাঁই পাঁচ থেকে পনেরো শতাংশ দাম বাড়ানো শুরু করেছে। ফলে চাউমিন, চিলি চিকেন থেকে ফ্রায়েড রাইস, চিলি ফিশ– ছেঁকা দিচ্ছে সব খাবারই। তার উপর জ্বালানির দামবৃদ্ধিতে অনলাইনে খাবার আনার খরচও এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে।

অনলাইনে খাবারের সঙ্গে যাতায়াতের খরচ যোগ হচ্ছে আরও ৪০-৫০ টাকা। দূরত্ব অনুযায়ী তা কমছে, বাড়ছে। রেস্তরাঁর মালিকরা বলছেন, খাবারের দাম কিছুটা বাড়ায় খদ্দের অল্প হলেও কমছে। পার্ক স্ট্রিট থেকে গোলপার্কের আলো ঝলমলে রেস্তরাঁ, বহু জায়গারই খাবার টেবিল বেশ ফাঁকাই থাকছে।

পাটুলির এক মাঝারি মানের রেস্তরাঁয় মাসখানেক আগেও এক প্লেট ভেজ চাউমিনের দাম ছিল ১৪০ টাকা। সেটাই ১৭০ হয়ে গিয়েছে। চিলি চিকেনের প্লেট ২১০ থেকে ২৪০। এর উপর আছে GST, সার্ভিস চার্জ। দাম বেড়েছে স্ট্রিট ফুডেরও। তবে সবাই যে বাড়িয়েছে তা নয়। অনেকে পরিমাণ কমিয়ে দাম এক রেখেছে খাবারের।

শনিবার খোঁজ নিতে গিয়ে কথা হচ্ছিল ডালহৌসির এক ফাস্ট ফুড বিক্রেতার সঙ্গে। তাঁর কথায়, “মুরগির মাংস আড়াইশো টাকা পার করে গিয়েছে। রান্নার তেলের দাম আকাশছোঁয়া। সামান্য তেজপাতারও দাম বেড়েছে গত কয়েক মাসে। আগের দামে তাও খাওয়াচ্ছি। পরিমাণটা কিছুটা কমিয়েছি।” বাণিজ্যিক গ্যাসের পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের দামও শনিবার থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় হোম ডেলিভারিতে যাঁরা খাবার সরবরাহ করেন তাঁদেরও সমস্যা বাড়ল। “রোজ রোজ তো দাম বাড়ানো যায় না। কিন্তু সব জিনিসেরই দাম প্রায়দিনই বাড়ছে। ব্যবসা উঠে যাবে এরকম চললে”, বলেন সিঁথির মোড়ে হোম ডেলিভারির ব্যবসায়ী সোহিনী ভট্টাচার্য।

গোলপার্কের এক রেস্তরাঁর মালিকের কথায়, “গত তিন মাসে দু’বার খাবারের রেটচার্ট বদলাতে হল। মানুষ ভাবছে আমরা ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছি। আসলে আমাদেরও তো খরচ বাড়ছে। কর্মীদের মাইনেও তো বাড়াতে হয়েছে।” হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ইস্টার্ন রিজিয়নের সভাপতি সুদেশ পোদ্দার বলেন, “যেভাবে গ্যাস, রান্নার তেল, জিনিসের দাম বেড়েছে, সেকথা মাথায় রেখেই পাঁচ থেকে পনেরো শতাংশ খাবারের দাম বাড়ছে বিভিন্ন রেস্তরাঁয়। ইতিমধ্যেই অনেকে বাড়িয়েছে। অনেকে আবার মে অথবা জুন মাসে বাড়াবে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Restaurant, #price hike, #fuel price hike, #Food price

আরো দেখুন