কৃষকদের হুমকি দেওয়া উচিত হয়নি মন্ত্রীর, লখিমপুর কাণ্ডে মন্তব্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের
মন্ত্রিপুত্র আশিস মিশ্রের গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যু হয়েছিল চার কৃষক ও এক সাংবাদিক। আর লখিমপুর খেরিতে ছেলের ওই কাণ্ডের ক’দিন আগেই হুমকি দিয়েছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। প্রকাশ্যে তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল, কৃষকরা আন্দোলন না থামালে দু’মিনিটে ঠান্ডা করে দেব। সেই ঘটনা টেনে সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলল, কৃষকদের ওইভাবে হুমকি দেওয়া উচিত হয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। লখিমপুর কাণ্ডে মন্ত্রিপুত্রের সহ-অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য আদালতের। হাইকোর্টের সাফ বক্তব্য, ‘মূল অভিযুক্ত ও সহ অভিযুক্তরা সবাই প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। তাঁরা প্রমাণ লোপাট করতে পারেন।’
ঘটনাচক্রে, এই এলাহাবাদ হাইকোর্টেই জামিন পেয়েছিলেন অজয় মিশ্রের ছেলে। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলে ফিরতে হয়েছে মন্ত্রিপুত্রকে। সেই এলাহাবাদ হাইকোর্টই এদিন কেন্দ্রে অমিত শাহের ডেপুটি অজয় মিশ্রের হুমকি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল। সিটের পেশ করা চার্জশিটের বয়ানের ভিত্তিতে আদালতের এই মন্তব্য। সিটের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই এলাকায় গিয়ে কৃষকদের হুমকি না দিলে লখিমপুরের হত্যাকাণ্ড ঘটত না।
এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলে, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জনসমক্ষে মার্জিত ভাষায় কথা বলা উচিত। পদের মর্যাদা মেনে চলা প্রয়োজন। আইনপ্রণেতাদের আইন ভঙ্গকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া ঠিক নয়।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের ভূমিকারও এদিন কড়া সমালোচনা করে আদালত। হাইকোর্ট বলে, ‘এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশ জারি হওয়ার কথা উপ মুখ্যমন্ত্রীর অজানা ছিল বলে আমরা বিশ্বাস করি না। ওই নির্দেশ জারি থাকা সত্ত্বেও তিনি কুস্তি প্রতিযোগিতার অতিথি হয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।’