ইউরোপের একটি হাবে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল জেলেনস্কি প্রশাসন
একদিকে এলাকা পুনরুদ্ধার, অন্যদিকে শত্রুপক্ষকে ভাতে মারার কৌশল। বুধবার ইউক্রেনের মধ্যে দিয়ে ইউরোপের একটি হাবে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল জেলেনস্কি প্রশাসন। পাশাপাশি, রুশ সেনার থেকে খারকিভ লাগোয়া চারটি গ্রাম দখল নিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ শুধুমাত্র ভূখণ্ড দখলের উপর আটকে নেই, তা প্রভাব ফেলেছে জ্বালানি ও আর্থিক বাজারেও। ইউক্রেনের উপর হামলার জেরে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ ইউরোপের সিংহভাগ দেশ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তার জেরে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের বিক্রি তলানিতে। কিন্তু, তাতেও দু’মাসের বেশি সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পুতিনের বাহিনী। তাই ইউক্রেনের বন্ধু পশ্চিমি দেশগুলি চাইছিল রাশিয়ার জ্বালানির উপর যাতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলস্বরূপ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পুতিনের দেশে অর্থভাণ্ডারে টান পড়বে। সেই পরিকল্পনামাফিক তাদের ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে ইউরোপের একটি হাবে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল ইউক্রেন। তবে কিয়েভের এই সিদ্ধান্তের জেরে ইউরোপ বা রাশিয়ার উপর কী প্রভাব পড়বে, তা এখনই জানা যায়নি। মস্কোর রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থা গাজপ্রোম জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের আগে থেকেই ইউক্রেনের মাধ্যমে ইউরোপে ২৫ শতাংশ কম গ্যাস সরবরাহ করছে। গ্যাস বণ্টন কমে হয়েছে ৭ কোটি ২০ লক্ষ ঘন মিটার। পাশাপাশি, ইউক্রেন এড়িয়ে অন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস পাঠাচ্ছে রাশিয়া।
অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ সংলগ্ন চারটি গ্রাম রুশ সেনার থেকে দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনী আধিপত্য নিয়েই ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করছে। তবে, ডনবাসের দিকে দ্রুত গতিতে এগচ্ছে পুতিনের বাহিনী। যুদ্ধের আগের তুলনায় বেশি এলাকা তারা দখল করে নিয়েছে।’