বিপ্লব দেবের উত্থান… এবং পতন, দেখে নিন ছবিতে
আজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিপ্লব দেব। জেনে নিন কি করে তিনি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কেনই বা হারালেন সেই পদ।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের চাঁদপুর জেলা থেকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে চলে এসেছিলেন বিপ্লব দেবের পরিবার। তারপর ভারতীয় নাগরিকত্ব পান দেব পরিবার।
নয়াদিল্লিতে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে তিনি ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ১৫ বছর অনুপস্থিতির পর তিনি পরে ত্রিপুরায় ফিরে আসেন। দিল্লিতেই জিম ইন্সট্রাক্টরের কাজ করাকালীন তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে যোগ দেন বলে জানা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের সাতনা লোকসভায় সাংসদ গণেশ সিংহের সঙ্গে কাজ করেছেন বিপ্লব। জানা গেছে আরএসএসে তাঁর অন্যতম গুরু ছিলেন সুনীল দেওধর এবং কে এন গোবিন্দাচার্য।
ত্রিপুরায় সিপিএমকে হারাতে রাজ্যেরই এক তরুণ মুখ খুঁজছিল বিজেপি। তখনই চোখে পরে যান বিপ্লব। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বিজেপির ত্রিপুরা রাজ্য ইউনিটের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
৯ মার্চ ২০১৮এ ত্রিপুরার দশম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন বিপ্লব দেব. তারপর থেকে বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। পৌরাণিক যুগে ইন্টারনেটের ব্যবহার কিংবা গৌতম-বুদ্ধের পায়ে হেঁটে সাগরপার নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি এও দাবি করেন মুঘলরা ত্রিপুরার সংস্কৃতিতে বোমা বর্ষণ করতে চেয়েছিল। তিনি মন্তব্য করেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়াররা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য সঠিক নয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় শুধুমাত্র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের বসা উচিত।
২০২০-২১শে ত্রিপুরায় আইন ব্যবস্তার অবনতি হয় , বিরোধীরা নানাভাবে বিজেপিকে প্রতিহত করতে শুরু করে. ২০২২ সালের মে মাসে, তাকে দিল্লি ডেকে পাঠায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফিরে এসেই ইস্তফা দেন তিনি। বলা হচ্ছে অমিত শাহের নির্দেশেই নাকি তাঁর ইস্তফা । দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য সরকারি কাজকর্মেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে দিল্লি মনে করছে। এই অবস্থায় বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে বিধানসভার ভোটে গেলে ভরাডুবি ঘটতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা অমিত শাহ-নাড্ডাদের।