আবারও ‘বর্ণ বৈষম্যে’ বিতর্ক আমেরিকায়, টেক্সাসের স্কুলে শারীরিক হেনস্থা ভারতীয় ছাত্রের
আমেরিকায় টেক্সাসের স্কুলে শারীরিক হেনস্থা, হুমকির শিকার এক ভারতীয় কিশোর। জন্মসূত্রে ওই কিশোর অবশ্য মার্কিনী। সোশাল মিডিয়ায় কিশোরকে হেনস্তার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। টেক্সাসের স্কুলের এই ঘটনা মার্কিন মুলুকে বর্ণবৈষম্যের বিতর্ককে ফের একবার উসকে দিয়েছে।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় ওই ছাত্রকে জোর করে তাঁর বসার জায়গা থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রের গলা হাত দিয়ে পেঁচিয়ে টেনে নামিয়ে আনছে স্কুলের আর এক ছাত্র। এনবিসির রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হেনস্থার শিকার যে ছাত্র, তাকে তিন দিনের জন্য সাসপেন্ড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যে ছাত্রের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ, তাকে মাত্র একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। শাস্তির এই তারতম্য উসকে দিয়েছে বিতর্ক।
সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। শুধু এশিয় বা ভারতীয় হওয়ার জন্য কি ছাত্রটি হেনস্থার শিকার? এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। শাস্তির ক্ষেত্রেই বা এরকম তারতম্য কেন? প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন দেশের ভারতীয়রা? তা হলে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বর্ণবৈষম্যের অসুখ সমাজে টিকে রয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন মার্কিন নাগরিকেরা।
নিগৃহীত ছাত্রের মা সংবাদ মাধ্যমকে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ছেলের ওই ভিডিয়ো দেখে তিনি টানা তিন রাত্রি ঘুমতে পারেননি। মানসিক ভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন। যতবার ওই ভিডিয়ো দেখেছেন ততবার মানসিক যন্ত্রণা কুরে কুরে খেয়েছে ছাত্রের মা’কে, রিপোর্টে জানিয়েছে এনবিসি।
ওই স্কুলেরই অন্য এক ছাত্র টেক্সাসের এই ঘটনা মোবাইল-বন্দি করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। তারপরেই নিন্দার ঝড় ওঠে। কিশোর যাতে সুবিচার পায় তার জন্য অনলাইন সই সংগ্রহ করা হয়। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ নাগরিক ওই প্রতিবাদ-পত্রে সই করেছেন।