দেশ বিভাগে ফিরে যান

তীব্র খাদ্যসংকটের মুখে দেশ, অনাহারে থাকবেন ৯ কোটি ভারতীয়?

May 20, 2022 | 2 min read

ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা, এরমধ্যেই প্রকাশ্যে চলে এলো খাদ্যসংকটের অশনি সংকেত। এক তীব্র খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে দেশ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২৩ শতাংশের বেশি ভারতীয়কে পড়তে হবে অনাহারের মুখে। তাদের ধারণা, ২০৩০ সালে অন্ততঃ ৯ কোটি ভারতীয়র পেটে ভাত থাকবে না।

আন্তর্জাতিক খাদ‌্যনীতি গবেষণা কেন্দ্রের ২০২২-সালের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ‌্য। প্রকট হচ্ছে বিপর্যয়ের সংকেত। সম্প্রতি গবেষণাসূত্রে জানা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কৃষি ও খাদ্য সংকট দেখা দিতে চলেছে।

আইপিসিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতের চাল উৎপাদন ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কমতে পারে। সবচেয়ে বেশি সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে রয়েছে ভারত আর পাকিস্তান। ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও অনাবৃষ্টি, সেই সঙ্গে প্রবল গরম; চাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ বিঘ্নিত হত। যার জেরে ফলস ফলনে প্রভাব পড়ছে।

আইপিসিসির অনুসন্ধান অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরা বাড়বে। যার জেরে বিপন্ন হবে ভারত, পাকিস্তানসহ সন্নিহিত এলাকা। মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও ফসল উৎপাদনের উপরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের পড়বে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভুট্টা উৎপাদন ২৫-৭০ শতাংশ কমতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৯.০৬ কোটি ভারতবাসী (২২.৬৯ শতাংশের বেশি) অনাহারের মধ্যে পড়বে। ‘এগ্রিগেট ফুট প্রোডাকশন’ সূচকের মাধ্যমে ভারতের খাদ‌্য উৎপাদনের পরিমাপ করা হয়। এই সূচকের আওতায় খাদ‌্যশস‌্য, মাংস, ফল, শাক-সবজি, তৈলবীজ, ডাল–সবই রয়েছে। প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ২০৪১ থেকে ২০৬০ সালের মধ্যে কৃষিজ উৎপাদন ১.৮ থেকে ৬.৬ শতাংশ কমতে পারে এবং ২০৮০ সালের ভিতর ওই উৎপাদন ৭.২-২৩.৬ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।​

ফলে ভারত-পাকিস্তানের মতো কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে থাকা দেশগুলিতে সমস্যা বেশি দেখা দেবে। কার্বন নির্গমন যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে সমস্যায় পড়বে ভারতের ১১টি রাজ্য; তার মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Food, #Hunger, #Indians

আরো দেখুন