অনন্য নজির পিয়ালির, কৃত্রিম অক্সিজেনের ছাড়াই এভারেস্ট জয় বঙ্গতনয়ার
এভারেস্ট জয় বঙ্গতনয়ার, অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চন্দননগরের মেয়ে পিয়ালি বসাক। রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের ওপর ভারতীয় পতাকা ওড়ালেন পিয়ালী। প্রথম বাঙালি হিসেবে কোনরকম কৃত্রিম অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই মাউন্ট এভারেস্ট জয় করলেন হুগলির চন্দননগরের পিয়ালি। সাধারণত আট হাজার মিটার উচ্চতায় উঠতে গেলে অক্সিজেনের সাহায্য নিতেই হয়। কিন্তু পিয়ালি কোনরকম অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই অভিযান শেষ করেন। রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি ছুঁয়ে ফেলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। শেষ পাওয়া খবরে অনুযায়ী পিয়ালি এখন এভারেস্ট জয়ের পর ক্যাম্প চারে ফিরে আসছেন।
চন্দননগরের কানাইলাল স্কুলে শিক্ষকতা করেন পিয়ালি, শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি পর্বতারোহণ তাঁর নেশা। ছোট থেকেই এভারেস্ট জয় ছিল তাঁর স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকেই পাহাড়ের নেশা ছিল তাঁর। বাবা-মায়ের সঙ্গে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে সেখান থেকেই পাহাড়-পর্বতের প্রতি ভাল লাগা শুরু। তারপর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় রক ক্লাইম্বিং কোর্স করেন পিয়ালি। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারপর থেকে অভিযান যাত্রার শুরু।
এর আগেও ২০২১ ধৌলাগিরি এবং ২০১৮-তে মনাসুলু শৃঙ্গ কোন রকম সাপ্লিমেন্টারি অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই জয় করেছিলেন পিয়ালি। তবে ইতিপুর্বে ২০১৯ সালে মাউন্ট এভারেস্টের খুব কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে, অধরা ছিল মাউন্ট এভারেস্ট জয়। সেই অপ্রাপ্তির ঘটনাই তাঁর জেদকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই জেদ থেকেই এবার সাফল্য এসে গেল। কৃতিত্বের সঙ্গেই এল সাফল্য, অনন্য নজিরও তৈরি হল। এই অভিযানে প্রথম ভারতীয় মহিলা তথা প্রথম বাঙালি হিসেবেও অনন্য নজির গড়লেন।
পিয়ালির এই সাফল্যে তাঁর পরিবার, স্কুলের সহকর্মী থেকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা সকলেই উচ্ছ্বসিত। গর্বিত বঙ্গবাসীও। বহু প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে পিয়ালির এই জয়কে কুর্নিশ জানায় দৃষ্টিভঙ্গি।