জীবদ্দশায় সদস্যপদও দেয়নি, মৃত্যুর পর তরুণবাবুকে নিয়ে রাজনীতি সিপিএমের
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন খ্যাতনামা চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। প্রয়াত পরিচালকের মৃত্যুর ফায়দা তুলতে নির্লজ্জভাবে মাঠে নেমে পড়েছে সিপিএম। তরুণ মজুমদারের মৃতদেহ লাল পতাকায় ঢাকা, সেই ছবি নিয়ে বেনোজির প্রচার চালাচ্ছে বামেরা। যে মৃত মানুষটিকে নিয়ে মরা গাঙে জোয়ার আনতে চাইছে বাম শিবির, তাঁকে পার্টি সামান্য সদস্যপদটুকু পর্যন্ত দেয়নি।
তরুণ মজুমদার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বামপন্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, থাকলেও প্রচার সর্বস্ব মেকি শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া তাঁর প্রতি সিপিএম কোন দায়িত্বটা পালন করেছে? ওঁর মতো এক মানুষের প্রাপ্য নূন্যতম রাজনৈতিক মর্যাদাটুকু আদৌ কি দিতে পেরেছে সিপিএম?
শোনা যায়, ঘনিষ্ঠমহলে পরিচালক একাধিকবার আক্ষেপও করেছেন। তিনি যখন পার্টির কাজ করতে চেয়েছেন, তখন সিপিএম তাঁর আহ্বানে কোন সাড়া শব্দ করেনি। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সময় পার্টি অনিন্দিতা সর্বাধিকারীর মতো আনকোরা পরিচালককে দিয়েও তথ্যচিত্র বানালেও, প্রয়াত পরিচালককে ব্যবহারই করেনি সিপিএম। গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘও তরুণ বাবুর মতো মানুষকে ব্যাহার করেনি।
এমনকি তিনি পার্টির সভাতে গেলেও সিপিএম তাঁকে সদস্যপদও দেয়নি। অথচ কী বিচিত্র আচরণ! সেই মানুষটি মারা যেতে, তাঁকে নিজেদের লোক প্রমাণ করতে মরিয়া আজকের সিপিএম নেতৃত্ব। বিবৃতির প্লাবন। পরিচালকের ঘনিষ্ঠমহল জানিয়েছে পার্টির সদস্য হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সিপিএম তা দেয়নি।
মঙ্গলবার ৬ জুলাই গণশক্তি লিখেছে তিনি নাকি আজীবনের বামপন্থী। তাহলে কেন তাঁকে সম্মান দিয়ে পার্টি সদস্যপদ দেওয়া হল না? শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন মরদেহ আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে নিয়ে যাওয়া হল না? বামেদের পক্ষে কোথায় যেন সবটা ফাঁকি হয়ে গেল। এই মৃতদেহের রাজনীতি নিয়ে বাম শিবিরের অন্দরেও কেউ কেউ ক্ষুব্ধ।