মোদীকে বলা যাবে না ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ – নতুন ‘অসংসদীয়’ শব্দের তালিকা নিয়ে বিতৰ্ক
স্বৈরাচারী মোদী সরকারের এবারের লক্ষ্য বিরোধী সাংসদেরা। নির্দেশিকা জারি করে দেশের সাংসদের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল মোদী সরকার। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই ঝুলি থেকে নতুন বিড়াল বের করল মোদী সরকার। ১৩ জুলাই বুধবার লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সংসদীয় অধিবেশন চলাকালীন বেশ কিছু শব্দের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘খুন সে ক্ষেতি’ অর্থাৎ রক্ত দিয়ে চাষ করা, ‘স্নুপগেট’ ইত্যাদি শব্দগুলো সংসদ ভবনের অলিন্দে আর ব্যবহার করতে পারবেন না দেশের সাংসদেরা। পুস্তক প্রকাশ করে এই শব্দগুলোর ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুলাই লোকসভা সচিবালয়ের তরফে প্রকাশিত অসংসদীয় শব্দের তালিকায়, ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’ ‘ভণ্ডামি’ ইত্যাদির মতো শব্দবন্ধগুলি রয়েছে। বেশ কিছু আপাত নিরীহ শব্দ। সংসদের অধিবেশনে ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘তানাশাহি’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘খলিস্তানি’, ‘বিনাশপুরুষ’-এর মতো শব্দের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তার সরকারকে আক্রমণ করতে এমন শব্দবন্ধগুলি বিরোধীরা নিয়মিত ব্যবহার করতেন। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সংসদীয় ব্যবস্থার উপরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছেন মোদী? গণতন্ত্রের মন্দিরে যদি দেশের আইন প্রণয়নকারীদেরই বাক স্বাধীনতা আক্রন্ত হয়, তবে গোটা দেশের কি অবস্থা!
এই নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেসের রণদীপ সূর্যেওয়ালার মত নেতারা। সকলের একই বক্তব্য: বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে মোদী সরকার।