দেশ বিভাগে ফিরে যান

লোকসানে দেশের ৯৯টি বিমানবন্দর, বেসরকারিকরণের পথেই কি হাঁটবে মোদী সরকার? 

August 20, 2022 | 2 min read

এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনস্থ দেশের ১৩৬টি বিমানবন্দরের মাত্র ১০৯টি বিমানবন্দর সচল রয়েছে। যদিও অধিকাংশ বিমানবন্দর চলছে লোকসানে। ২০২০-২১ অর্থ বছরের হিসেব-নিকেশ বলছে ১০৯ টি বিমানবন্দরের মধ্যে কেবল ১০টি লাভ করছে। মোদী সরকার কারণ হিসেবে কোভিডকেই দায়ী করেছে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল অন্যকথা বলছে। তাদের মতে, লোকসান দেখিয়েই তলে তলে বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে মোদী সরকার? 

বিমানবন্দরের রাজস্ব আদায়ের প্রসঙ্গে সংসদের এস্টিমেট কমিটিতে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে মোদী সরকার। ওই রিপোর্টের সরকার বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে, গত তিন বছরে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা কোন বিমানবন্দর কেমনভাবে চলছে, কোনটি লাভে চলছে। কোনটি ক্ষতিতে ডুবে গিয়েছে তাও উঠে এসেছে রিপোর্টে। তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয় ও ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির তুলনায় ছোট বিমানবন্দরগুলি লাভ বেশি করেছে। দেশের ১০টি লাভজনক বিমানবন্দরগুলি হল বাংলার বাগডোগরা, পাটনা, পোর্টব্লেয়ার, বিশাখাপত্তনম, কান্দলা, পোরবন্দর, শ্রীনগর, পুনে, জুহু এবং কানপুর। 

বিমানবন্দরগুলি লাভ করতে পারে, এমন পরিকল্পনা নেওয়ার নিদান দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে মোট ৭টি বিমানবন্দর রয়েছে। তার মধ্যে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাগডোগরা, বেহালা এবং কোচবিহার চালু রয়েছে, অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট চারটি সচল। বাকি তিনটি আসানসোল, মালদা, বালুরঘাট নন অপারেশনাল অর্থাৎ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৩১ কোটি টাকা ক্ষতিতে চলেছে। অন্যদিকে, বাগডোগরা করোনা পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা লাভ করেছে। বেহালায় ও কোচবিহারের ক্ষতির পরিমাণ যথাক্রমে ৫১ লক্ষ এবং ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। গোটা দেশে সর্বাধিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তামিলনাড়ুর চেন্নাই বিমানবন্দর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২৫৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দরের। বলাবাহুল্য মোদী জমানায়, গোটা দেশে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে চলা বিমানবন্দরগুলির দৈনদশা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এইভাবেই কি বেসরকারিকরণের পথ প্রশস্ত করছে মোদী সরকার?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Privatisation, #airport

আরো দেখুন