এবার মোদী সরকারের লক্ষ্য অশোকা হোটেল, প্রায় পাকা বিক্রির বন্দোবস্ত
মোদী সরকারের সর্ববৃহৎ ঘোষিত আর্থিকনীতি হল বেসরকারিকরণ। সরকারি সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, নানান রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পর এবার বিক্রির তালিকায় কেন্দ্র পরিচালিত হোটেলকেও সংযুক্ত করতে চলেছে মোদী সরকার। শোনা যাচ্ছে দিল্লির ঐতিহ্যবাহী সরকারি অতিথিশালা অশোকা হোটেল বিক্রির ব্যবস্থা প্রায় পাকা করে ফেলেছে মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে থাকা বেচুগিরি সরকারে।
জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৬০ বছরের লিজে বেসরকারি হাতে অশোকা হোটেল তুলে দেওয়া হবে। অশোকা হোটেলের জমি বিক্রি করে, আবাসন নির্মাণ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। অশোকা হোটেল এবং তার যাবতীয় জমি ও সম্পদ বিক্রি করে প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঘরে তুলতে চাইছে মোদী সরকার।
এয়ার ইন্ডিয়ার পরে, সংস্থা বিক্রির তালিকায় অশোকা হোটেলকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে মোদী সরকার। ২০২১-২২ অর্থ বছরে সরকারি সংস্থা এবং সম্পদ বিক্রি করে ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করেছিল মোদী সরকার। বিএসএনএল, এমটিএনএল, হোটেল, এয়ার ইন্ডিয়ার জমি ইত্যাদির পর নয়া অর্থ বছরে মোদীর টার্গেট হল অশোকা হোটেল। অটলবিহারী বাজপেয়ির আমলেও এই হোটেল বিক্রির তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু তীব্র আপত্তি ওঠায় তা ধোপে টেকেনি। ফলে সে সময় আর বিক্রি করা যায়নি।
মোদী ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৫ সালে বেসরকারিকরণের জন্যে ৩৫টি সরকারি সংস্থাকে চিহ্নিত করে। ন্যাশনাল মানিটাইজেশন নীতি নামক গালভরা নামের আড়ালে বেসরকারিকরণ শুরু হয়। বলাইবাহুল্য অশোকা হোটেলকেও সেই ৩৫টির তালিকায় চিহ্নিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে ২৫ একর জমি নিয়ে পাঁচতারা হোটেলটি তৈরি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছেই এটি অবস্থিত। বিদেশি রাষ্ট্রনায়ক বা দেশের গণ্যমান্য অতিথিদের এ যাবৎ অশোকা হোটেলেই রাখা হয়েছে। ঐতিহ্যশালী অশোকা হোটেল বাণিজ্যিকভাবেই লাভ দিয়ে এসেছে। এবার সেই ঐতিহ্যশালী হোটেলকেই দাঁড়িপাল্লায় তুলে বিক্রির পথে এগোচ্ছে মোদী সরকার।