বিরোধীদের বেহিসেবি সম্পত্তির পর্দাফাঁস
নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু মোদী আমলের হলুদ সাংবাদিকতায় ভর করে, কেবলমাত্র এক পক্ষিকা খবর দেখছে বাঙালি। কেবল রাজ্যের শাসক দলের নেতারাই নন, অন্যান্য দলের নেতাদের হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তিও আদালতের নজরে এসেছে। শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরি, আবদুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওরাওঁ, নিশীথ প্রামাণিক, মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, রাহুল সিনহা, অনুপম হাজরা এবং জিতেন্দ্রকুমার তেওয়ারি; কুড়ি জনের নাম প্রকাশ্যে আসছে।
তালিকায় নাম থাকা নেতা-নেত্রীদের নির্বাচনী হলফনামাই বলে দিচ্ছে একেক জনের সম্পত্তি পাঁচ বছরে কয়েকশো গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নেতা-নেত্রীদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি বলেই দাবি করছেন কেউ কেউ।
আদালতে জমা পড়া নথি অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে শিশির অধিকারীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যথাক্রমে ৬২১৩ শতাংশ ও ৩৫৬৮ শতাংশ বেড়েছে। তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১৭৩৮ শতাংশ ও ৩০০ শতাংশ। ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ৮৬৭ শতাংশ ও ১২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিব্যেন্দু অধিকারীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যথাক্রমে ৬৪৫ শতাংশ ও ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৭১১ শতাংশ ও ৭ শতাংশ। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ৩২১ শতাংশ ও ৫৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ১০০ শতাংশ ও ২ শতাংশ। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ ও ১১৬৩ শতাংশ। আরেক কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ৮৬ শতাংশ ও ৬৬ শতাংশ। প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের স্থাবর সম্পত্তি ২৬ শতাংশ কমলেও, অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।