ডাবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরেই কয়েকশো কোটির দুর্নীতি, নিশ্চুপ বিজেপি
সরকারি তথ্য বলছে ট্রাকের নম্বর, কিন্তু তদন্ত করে জানা গেল আসলে সেই নম্বরে রয়েছে মোটর সাইকেল আর চার চাকার ছোট গাড়ি। বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশে রেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে এরকম নানা তথ্য এসেছে ।কয়েকশো কোটি টাকার কেলেঙ্কারির উৎস যে দপ্তর, তার দায়িত্বে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
মধ্যপ্রদেশ অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল বিভাগের ৩৬ পাতার একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে শিশুদের পুষ্টি যোগানোর জন্য নারী ও শিশু কল্যান দপ্তরের ওই প্রকল্পে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এই তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে স্কুলে পাঠরত শিশুদের জন্য ওই প্রকল্পে সুবিধাভোগী বাছাই, খাদ্যের উৎপাদন, বন্টন আর মান নিয়ণন্ত্রের ক্ষেত্রে নানা ভাবে বেনিয়ম আর দুর্নীতি হয়েছে।
এই তদন্তে নারী ও শিশু কল্যান দপ্তরের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের নানা প্রান্তে মোট ছয়টি কারখানা থেকে ৭ কোটি টাকা খরচ করে ১১০০ মেট্রিক টনেরও বেশি রেশন পাঠানো হয়েছে। সেই সব রেশন পাঠানোর জন্য যে ট্রাকের নম্বর দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের পরিবহন দফতরের তথ্য বলছে সেই নম্বরগুলি আসলে মোটরসাইকেল, ছোট গাড়ি আর অটো রিকশার।
প্রকল্প অনুযায়ী স্কুল ছুট ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদেরও রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তথ্য বলছে এই রকম স্কুল ছুট কিশোরীর সংখ্যা কোনওমতেই নয় হাজারের বেশি নয়। অথচ সে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যান দপ্তরের কর্তারা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা সত্ত্বেও কোনওরকম সমীক্ষা না করেই জানিয়ে দিলেন সংখ্যাটা ছত্রিশ লাখেরও বেশি। দুর্নীতি যে কি পরিমাণ হয়ে্ছে তাঁর একটা অনুমান এই তথ্য থেকেই পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে এভাবে কোনও ঠিকানা ছাড়াই পাঠানো রেশনে গায়েব হয়েছে ১১০ কোটি টাকারও বেশি।এছাড়াও কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে অঙ্গওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা, রে্শনজাত খাদ্য তৈরির কারখানার কাছে পৌঁছানো খাদ্যশস্যের পরিমাণ আর ইত্যাদি নান খাতে।
ডাবল ইঞ্জিন সরকার চালিত মধ্যপ্রদেশে নারী ও শিশু কল্যান বিভাগে এই দুর্নীতির ঘটনায় বিরোধীরা এবার চেপে ধরেছে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে, কারণ তাঁর দ্বায়িত্বেই এই দপ্তর।