নিজের মেয়েকেই চাইল ব্রিটেন, আর্থিক হাল ফেরানোই লিজের চ্যালেঞ্জ
ব্রিটেনের মসনদ জয় অধরা থেকে গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের। ৫ সেপ্টেম্বর সে দেশের ৫৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন লিজ ট্রাস। মার্গারেট থ্যাচার ও টেরিজা মের পর দেশের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন লিজ। কনজারভেটিভ পার্টির অভ্যন্তরীণ ভোটাভুটিতে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। অন্যদিকে সুনাক ৬০ হাজার ৩৯৯টি ভোট পান। নির্বাচনে জেতার থেকেও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে লিজের জন্যে, কারণ তাকে ব্রিটেনের হাল ফেরাতে হবে। আর্থিক মন্দা, বেহাল শিল্পক্ষেত্রে, গগনচুম্বী মুদ্রাস্ফীতি, ঠিক এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নিতে চলেছে ট্রাস।
ফলাফলে দেখা গিয়েছে দুই প্রার্থীর মধ্যে ১৪ শতাংশ ভোটের ব্যবধান রয়েছে। এদিন ফলাফল ঘোষণার পর লিজ, ভোটদাতাদের সমর্থনের জন্যে, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নিয়ম মেনে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ স্কটল্যান্ডে যাবেন বিজয়ী প্রার্থী। সরকার গড়ার জন্য রানি তাকে আমন্ত্রণ জানাবেন। তবে খবর মিলছে, লিজের মন্ত্রিসভায় সুনাকের জায়গা হচ্ছে না।
নয়া প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেশের আর্থিক হাল ফেরানো। জুলাইয়ে মুদ্রাস্ফীতির হারের রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে, প্রায় ১০.১ শতাংশ। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ব্রিটেনে মন্দা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
প্রচারের সময় থেকেই লিজ বলে আসছিলেন, জিতলে এক সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল থেকে ভবিষ্যৎ জ্বালানির সংস্থান, সব ক্ষেত্রেই সমাধানের পথের হদিশ দেওয়া হবে। ফল ঘোষণার পর এদিনও একই কথা বলেছেন লিজ। দুই বছরের মধ্যে সুদিন এনে দেখিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতে বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আরও বেশ কিছু কর কমানো হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। পাউন্ডের হাল ফেরাতেও নেওয়া হতে পারে একাধিক উদ্যোগ। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি বন্ডে বিনিয়োগকারীদের ভরসা ফেরাতে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের সংস্কারের রাস্তায় হাঁটতে পারেন লিজ।