মাছ উৎপাদনে রেকর্ড রাজ্যের, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গেল বাংলা
বাঙালির পরিচয় মাছ-ভাতে। আর এবার বাংলা মাছ চাষে নজির স্থাপন করেছে। শুধু নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকেই ছাপিয়ে যায়নি, পাশাপাশি বেড়েছে উৎপাদনও। মৎস্য দপ্তরের ২০২১-২২ সালের রিপোর্ট বলছে ছয় হাজার মেট্রিক টন বাড়তি উৎপাদন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন আরও বাড়ত বলে আশাবাদী মৎস দপ্তর। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে গত বছর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাছের ভেরি, পুকুর ভেসে যাওয়ায় মাছ চাষের ক্ষতি হয়েছে।
চলতি অর্থ বছরে এখনও তেমন বড় আকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি, তাই এবার আরও বেশি পরিমাণে মাছ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। ফলত মৎস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়েছে মৎস্য দপ্তর। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালে ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্য। লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গিয়ে ১৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৯৩৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর মাছ উৎপাদনের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও শীর্ষস্থান দখল করেছে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুরে তিন লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপাদিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে এক লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে।
চলতি অর্থ বছরে রাজ্য ১৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৪২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সাড়ে ৭ লক্ষ মেট্রিক টনের মাছ উৎপাদন হয়ে গিয়েছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে যথাক্রমে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ও ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরকে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।