দুর্গাপুজোয় রঙিন আলোয় তিলোত্তমাকে মুড়ে ফেলতে উদ্যোগী পুরসভা
দোরগোড়ায় শারদোৎসব। পুজোর পারদ চড়তে শুরু করেছে। দুর্গাপুজোয় কলকাতাকে আলোয় আলোয় মুড়ে ফেলা হয়। একদিকে পুজো উদ্যোক্তারা, আর অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা, দুই পক্ষের সাজে কল্লোলিনী কলকাতা ভরে ওঠে আলোকমালায়। মনে করা হচ্ছে, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় এবারে দুর্গোৎসবে সারা ভারত এমনকি বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক সামিল হবেন। তাই শহরকে নব কলেবরে সাজানোর কাজে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না পুর প্রশাসন।
চলতি বছর দুর্গাপুজোয় কলকাতার সমস্ত হেরিটেজ ভবন, সরকারি বা বেসরকারি অফিস আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর এই সাজের বিষয়ে ডাক বিভাগ, বন্দর, রেল, কেএমডিএ, পূর্তসহ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে এক বৈঠক সেরেছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারসহ ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের কর্তারা বৈঠকে হাজির ছিলেন। দেবাশিস কুমারের কথায়, চলতি বছর পুজোয় বাইরের রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকেও প্রচুর পর্যটক আসবেন। তাঁদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুমতিপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে কলকাতা (Kolkata) শহরের নির্দিষ্ট ৩০-৪০টি পুজোর ঠাকুর দেখতে পারবেন পর্যটকরা। তাঁদের অসুবিধা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। অনুমতিপত্রে সংশ্লিষ্ট পুজোর কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর রাখা থাকবে। পর্যটকরা যাওয়ার আগে ওই নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
যাদুঘর, জিপিও, শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন, রেলের অফিসগুলি এবং বন্দরের বিভিন্ন আলোয় অফিসগুলিকে রঙিন আলোয় সাজিয়ে তোলার অনুরোধ জানিয়েছে পুরসভা। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, টাউন হল, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, মার্বেল প্যালেস, নেতাজি ভবন, সেন্ট জোন্স চার্চসহ বিভিন্ন হেরিটেজ স্থানগুলিকে আলোয় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। পুরসভার অধীনে থাকা হেরিটেজ ভবনগুলির সাজানোর দায়িত্ব থাকছে পুর কর্তৃপক্ষের উপর। এর পাশাপাশি কলকাতা শহরের বেসরকারি হেরিটেজগুলিকেও সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।