বিলাসবহুল রিসর্টে বসে কৃষকদের নিয়ে আন্দোলনের ছক সাজাবে BJP
গেরুয়া বাহিনীর রিসর্ট সংস্কৃতি অব্যাহত। সরকার ভাঙা থেকে দলের সাংগঠনিক মিটিং সব কিছুই রিসর্টে করতে ভালবাসেন বিজেপি নেতারা। এবার বিজেপির কৃষক নেতাদের জন্যেও বিলাসবহুল রিসর্টের আয়োজন করা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কৃষক নেতাদের জন্যে বিলাস-বৈভবে পরিপূর্ণ এলাহি আয়োজন রাখা হচ্ছে। বিজেপি ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির লাটাগুড়িতে এক বিলাসবহুল রিসর্টে দলের কিষান মোর্চার প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে। বাংলা সহ বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ও আন্দামানেরও কৃষক নেতারা এই শিবিরে আসবেন।
বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে ১৮ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসেছিলেন। বাংলা কৃষিপ্রধান রাজ্য, কৃষি রক্ষা আন্দোলনে ভর করেই বাংলা পরিবর্তন এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিও আবার সেই কৃষক আবেগকে উসকে দিতে চাইছে। সেই কারণেই কৃষকদের নিয়ে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, কালা কৃষি আইন এনে আন্নদাতাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল মোদী সরকার। মোদী আমলেই কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও কৃষক আন্দোলনের দিনক্ষণ নিয়ে পার্টির অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। দলের একাংশের মত, নবান্ন অভিযানের রেশ জিইয়ে থাকতে থাকতেই আবারও ময়দানে নেমে পড়া হোক। আবার কেউ কেউ বলছে, দুর্গাপুজোর আগে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আম জনতা ভালোভাবে নেবে না। তাই তাদের দাবি, কালীপুজোর পরেই আন্দোলনের পথে হাঁটা হোক। কৃষকদের নিয়ে আন্দোলনে নামার আগে বিলাসবহুল অবসর যাপন চাইছে কৃষক নেতৃত্ব। সেই কারণেই হাওয়া বদল করতে উত্তরবঙ্গেপ্রশিক্ষণ শিবিরের। রিসর্টের এলাহি আরামের মধ্যে বসেই গরিব বঞ্চিত চাষিদের নিয়ে লড়াইয়ের পাঠ নেবেন বিজেপির কৃষক শাখার নেতারা! যা ঘিরে বিজেপির অন্দরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।