কাল হল বিক্ষোভ, কংগ্রেস সভাপতির লড়াইয়ে গেহলট আউট, কমলনাথ ইন?
অনুগামীদের বিদ্রোহের কারণে কপাল পুড়তে চলেছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের? ক্রমশই জোরালো হচ্ছে সে সম্ভাবনা। কংগ্রেসের অন্দরে খবর, গেহলটের অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের আচরণে বেজায় চোটেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এমতবস্থায় মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেসের সভাপতি পদের দৌড় থেকে সরতে হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে। গেহলট নিজে অবশ্য বিদ্রোহকে দুঃখজনক বলেছেন।
সভাপতি পদে বসতে হলে গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে, সেই কারণে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য বিধায়কদের মত জানতে রবিবার দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং অজয় মাকেন জয়পুর গিয়েছিলেন। কিন্তু গেহলটের অনুগামী বিধায়কেরা দুই পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা না করে, গেহলট ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে পৃথক বৈঠক করেন। শোনা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে বিদ্রোহীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সচিন পাইলটকে মেনে নেওয়া হবে না। স্পিকার সিপি জোশীর বাড়ি গিয়ে অন্তত ৮২ জন বিদ্রোহী বিধায়ক ইস্তফা দেন বলেও খবর শোনা যাচ্ছে। পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে দল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। বিধায়কদের সঙ্গে কথা না বলেই, দিল্লি ফিরে আসেন মাকেন। সনিয়ার কাছে তিনি গোটা ঘটনার রিপোর্ট পেশ করবেন বলেও জানিয়েছেন। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাকেন।
মাকেনের বিবৃতির পরেই গেহলটের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ধারিওয়াল অভিযোগ করেন, সচিনকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্যে চক্রান্ত করতেই মাকেন জয়পুরে এসেছে। কংগ্রেসে অন্দরে আরেকটি খবর ঘোরাফেরা করছে, কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মঞ্চ ওয়ার্কিং কমিটির কয়েক জন সদস্য গেহলটকে সুযোগ না দেওয়ার জন্যে সনিয়ার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সভাপতির দৌড়ে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠবৃত্তের আরেক নেতা কমলনাথের নামও ঘুরতে শুরু করেছে। এখন দেখার শেষ অবধি সভাপতির পদে কে বসেন।