তিলোত্তমা এবার লন্ডনে, টেমসের তীরে হতে চলেছে দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রা
দু-বছর মারণ ভাইরাসের গ্রাস কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে গোটা বিশ্ব, একই সঙ্গে মাতৃ আরাধনায় থাকবে চেনা ছোঁয়া। এবার তিলোত্তমা উঠে যাচ্ছে টেমসের ধারে, ব্যাপারটা ঠিক কী রকম? কলকাতার মতোই টেমসের ধারেও আয়োজিত হতে চলেছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ব্রিটেনের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হেরিটেজ গ্লোবাল বেঙ্গল এই উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করাই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য।
কলকাতার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল মুগ্ধ করেছে তাদের। সেই ধাঁচেই ৮ অক্টোবর বেলা একটা থেকে ‘দুর্গা প্যারেড অন টেমস’-এর আয়োজন করেছে হেরিটেজ গ্লোবাল বেঙ্গল। জানা গিয়েছে, ওয়েস্টমিনস্টার থেকে নৌকায় দুর্গা প্রতিমা নিয়ে টেমস নদীতে বিশেষ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডনের একাধিক পুজো সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করতে চলেছে।
আয়ারল্যান্ডের দুর্গাপুজোর এবার ষষ্ঠ বর্ষ, সেখানে পদ্মের বদলে লিলি ফুল ব্যবহার করা হয়। আয়ারল্যান্ডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুরোহিতের অপ্রতুলতা রয়েছে। শোনা যায়, পুজো করতে চাইলেও পুরোহিতের অভাবে অনেকেই তা করতে পারেন না। সেই কারণে এবছর থেকে আয়ারল্যান্ডে পুরোহিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা চালু করা হচ্ছে। এই কর্মশালা চলবে ১০-১২ দিন। এবার কাউন্টিগুলিতে তিনজন শিক্ষানবিশ পুরোহিত পুজো করবেন।
শারদীয়ায় মুখরিত হেলসিঙ্কিও। ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে ১৯৯৯ সালে কয়েকজন বাঙালি মিলে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। তারা পুজোর নাম দেন হেলসিঙ্কি দুর্গাপুজো। সেই সময়ে কোনও প্রতিমার জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা, স্থানীয় এক মহিলার পটচিত্রেই পুজো আরম্ভ হয়। ২০০৩ সাল থেকে প্রতিমা এনে এখানে মাতৃ আরাধনা শুরু হয়। এখন হেলসিঙ্কিতে তিনটি পুজো হয়। ১৯৮১ সালে লাগোস বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে নাইজেরিয়ায় প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। আট বছরে পা দিল কলম্বিয়ার বোগোটা দুর্গা পুজো। উমা আরাধনায় মেতেছে মালয়েশিয়াও। কুয়ালালামপুরের বাঙ্গুনান পেলাড্যাং হলে মালয়েশিয়ান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন পাঁচদিনব্যাপী দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছে। ১৯৭৮ সালে এই পুজোর পথচলা শুরু হয়।