জেনে নিন কেন ‘সিত্রাং’কে শাপে বর বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা
একে অমাবস্যার ভরা কোটাল, তার উপর শিয়রে সিত্রাং। সব মিলিয়ে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল সমুদ্র। সোমবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়ে গেছে ঝিরঝির বৃষ্টি। সিত্রাং নিয়ে আশঙ্কায় প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ। কিন্তু সিত্রাং এবং নিম্নচাপের যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা একদিক থেকে শাপে বর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
কারণ, কালীপুজো আর বায়ুদূষণ যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। আতসবাজির দাপটে কালীপুজোর দিনে ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ (একিউআই) কার্যত গগনচুম্বী হয়ে ওঠে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত কয়েক বছর এই দিনে একিউআই ৮০০ থেকে ৯০০’র ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে। যেখানে মানুষের সহনীয় একিউআই হল ৬০ থেকে ১০০। তবে এবার প্রকৃতি খানিকটা সহায়। আজ, সোমবার নিম্নচাপের জন্য সারাদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
পরিবেশকর্মীরা মনে করছেন, বৃষ্টি হলে একদিক থেকে শাপে বর হবে। বাজি পুড়লেও ঝড়-বৃষ্টির জন্য একিউআই অসহনীয় পর্যায়ে হয়তো পৌঁছবে না। এই বছর মহামারীর প্রকোপ কাটিয়ে বাজির বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। বিপুল পরিমাণ বাজি পোড়ালে বাতাসের মান কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে চিন্তায় পরিবেশকর্মীরা। প্রবল বৃষ্টি হলে এমনিতেই মানুষ বাজি পোড়াতে পারবেন না। তাই অন্যান্য বছর আতসবাজির কারণে যে অতিরিক্ত দূষণ হয়, তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলেই আশা।
পরিবশকর্মীরা মনে করছেন, বাজিতে থাকা রাসায়নিক ক্যাডমিয়াম, সীসা প্রভৃতি দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ঝড়-বৃষ্টি হলে এই পদার্থগুলি বেশিক্ষণ বাতাসে থাকতে পারে না। তবে সেটা যদি টানা বৃষ্টি হয়, তবেই সম্ভব। সামান্য বৃষ্টিতে একিউআইয়ে বিরাট পরিবর্তন হয় না।