কলকাতা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই দেখা গেল খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ
মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই দেখা গেল খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। সূর্যের বেশ খানিকটা অংশ ঢাকা পড়ল চাঁদের ছায়ায়। গ্রহণ শুরু হয় দুপুর দুপুর ২টো ২৯ মিনিটে। সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হয়। অর্থাৎ, খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্ব চলে ৪ ঘণ্টা ৩ মিনিট। কলকাতায় বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট থেকে গ্রহণ দেখা গিয়েছে। সূর্যাস্ত হয়েছে বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে। ১২ মিনিট কলকাতার আকাশে গ্রহণ দৃশ্যমান ছিল।
২৭ বছর আগে, ১৯৯৫ সালে কালীপুজোর পর দিন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আর এ বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হল আজ। চাঁদের ছায়ায় আংশিকভাবে ঢেকে যায় সূর্য।
এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশ থেকে যেমন দেখা গেল খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ, তেমনি প্যালেস্তাইনের গাজ়া সিটি থেকে গ্রহণ দেখা গিয়েছে। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকেও গ্রহণ দেখা গিয়েছে স্পষ্ট। সেখানে পুণ্যার্থীরা গ্রহণের সময় পবিত্র নদীতে নেমে স্নানে সেরেছেন। দিল্লি, চণ্ডীগড়, পাটনার আকাশ থেকেও দেখা গিয়েছে সূর্যগ্রহণ।
এর পৃথিবীর নানা অংশে থেকেই এদিনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। ইংল্যান্ডের নর্থ শিল্ড, রোমের ভ্যাটিকান সিটি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়ামের আকাশেও এদিন আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে।
চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারলে হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। না পারলে হয় আংশিক সূর্যগ্রহণ বা সূর্যের বলয়গ্রাস। কিন্তু চাঁদ তার কক্ষপথে একটু ঝুঁকে থাকে বলে অমাবস্যার চাঁদ সব সময়েই সূর্যের মুখ পুরোপুরি বা আংশিক ভাবে ঢেকে দিতে পারে না। তাই অমাবস্যায় সাধারণত আমরা চাঁদ দেখতে পাই না। বছরে সূর্যগ্রহণ হয় বড়জোর দুই থেকে তিনটি। সর্বাধিক হতে পারে পাঁচটি। যেমন শেষবার হয়েছিল ১৯৩৫ সালে।