হাঁটুর ব্যান্ডেজ পৌঁছে গেল গোড়ালিতে, মোদীর আগমণে রোগীরও মেকওভার!
মোদী আসবেন তাই রাতারাতি ঢেকে ফেলা হল গুজরাতের হাসপাতালের কঙ্কালসার দশা। রাজকোট থেকে আসা ৪০ জন মিস্ত্রি রাত-ভোর কাজ করেছেন। দেওয়াল-ছাদ মেরামতি সর্বত্র নতুন রঙের প্রলেপ, পুট্টি। বাথরুমে বসল নতুন টাইলস। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঝাঁ চকচকে চাদর, নতুন ছবি, নতুন ওয়াটার কুলার। ১৬০ কিমি দূরের জামনগর হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য নতুন বেড নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালের ভোল বদলের খবর গতকালই প্রকাশ করেছিল দৃষ্টিভঙ্গি। কেবল হাসপাতাল নয়, সেতু বিপর্যয়ে আহতদেরও ভোল বদলে গিয়েছে।
জনৈক অশ্বিন মেহেরা নামে এক ব্যক্তির শুধু হাঁটুতে ব্যান্ডেজ ছিল। কিন্তু মোদী আসবেন! তাই হাঁটুর ব্যান্ডেজ পৌঁছে গেল গোড়ালিতে। একেবারে ফিল্মি কায়দা। সেতু বিপর্যয়ের দু’দিন পর মঙ্গলবার অবশেষে ঘটনাস্থলে আসেন মোদী (Narendra Modi)। রবিবার ও সোমবার গুজরাতে থাকা সত্ত্বেও তিনি নাকি সময় পাননি। কারণ, দুয়ারে বিধানসভা ভোট। মোদীর আসার খবর পেতেই মোরবির জরাজীর্ণ সিভিল হাসপাতাল (Gujarat Hospital) রাতারাতি ভোলবদলে ফেলল। একই সঙ্গে আহতদের ভোলও বদলে দেওয়া হল।
গুজরাতের বিজেপি সরকারের হিসেব বলছে, সেতু বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোদীর সফর উপলক্ষ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাসপাতাল সংস্কারের ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ফটোশ্যুটের খোঁচা দিয়েছেন কেউ কেউ। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, আগের দিন রঙ হয়নি বলে মোদী যাননি। মানুষের চোখের জলের থেকে মোদীর কাছে রঙটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল দুপুরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যান মোদী। সেতুর অবশিষ্ট কাঠামোয় লাগানো ‘ওরেভা’ সংস্থার হোর্ডিং প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, টেন্ডার ছাড়াই ওই ঘড়ি নির্মাতা সংস্থাকে ব্রিজ সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে।