হিজাব বিরোধী আন্দোলন থামাতে, প্রতিবাদীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ইরানে
প্রায় দু-মাস ধরে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ইরান। সেদেশের সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে, বিদ্রোহ থামাতে উঠে পড়ে লেগেছে ইরানের প্রশাসন। সরকারের তরফে, অত্যাচার, নানা দমন পীড়ন চালানো হচ্ছে। এবার হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অপরাধে, তেহরানের আদালত এক প্রতিবাদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল। এই প্রথমবারের জন্যে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অপরাধে, মৃত্যুর সাজা ঘোষণা করল ইরানের প্রশাসন।
যদিও মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের সময়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তেহরানের আদালত তাকে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ইরানের অপর এক আদালত, আরও পাঁচ প্রতিবাদীকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। প্রায় কুড়ি জন প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, বিপুল সংখ্যক প্রতিবাদীদের মেরে ফেলে বিদ্রোহ দমন করতে চাইছে ইরান প্রশাসন। এই বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির হস্তক্ষেপ চেয়ে অনুরোধ করেছে।
পুলিশি হেফাজতে ইরানের তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা ইরান, উত্তাল হয়ে ওঠে হিজাব বিরোধী আন্দোলন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ার কারণে, এখন অবধি কমপক্ষে সাড়ে তিনশোজন প্রতিবাদীকে হত্যা করেছে ইরান প্রশাসন। আটক করা হয়েছে, প্রায় পনের হাজার প্রতিবাদীকে। সারা বিশ্ব ইরানের প্রতিবাদীদের সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের সাধারণ মানুষ এখনও হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন।