GST, Income Tax কমানোর নিদান শিল্প-বাণিজ্য-কৃষিমহলের, চাপে মোদী সরকার
দেশের অর্থনীতিকে কোনভাবেই কোমা থেকে বের করে আনতে পারছে না মোদী সরকার। এর মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য ও কৃষি মহলের বক্তব্য আমজনতার হাতে টাকার জোগান বাড়াতে হবে। এতেই প্রবল চাপে মোদী সরকার।
আমজনতার হাতে টাকা এলেই, মানুষ ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। আস্তে আস্তে উজ্জীবিত হবে অর্থনীতি। কিন্তু আম জনতার হাতে টাকা আসবে কী করে? একমাত্র দাওয়াই বলতে আয়কর, জিএসটি এবং সেস ইত্যাদি কমানো। বাজেটে সময় চলে এল, এই বাজেট থেকেই তা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র। এই পরিস্থিতিতে বিগত দুদিন শিল্প এবং কৃষি মহল, সিআইআই ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামীকাল বসবেন পরিষেবা সেক্টরের সঙ্গে। শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা করবেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে শিল্প বাণিজ্যমহল স্পষ্ট জানিয়েছে, মোদী সরকার নিজের আয়ের জন্য যতটা জোর দিচ্ছে, আম জনতার সাশ্রয় নিয়ে কিন্তু মোদী সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না।
সরকারের কাজকর্ম তাই বলছে, রেপো রেট বাড়ছে, ফলে ব্যাঙ্কের লাভ এবং ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। কৃষি-শিল্প মহল বলেছে, গ্রামীণ ভারতে রবিশস্য ফলনের আগে অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি। ক্ষুদ্র চাষিদের সমস্যা কোনমতেই কমছে না। ভারতীয় কিষান সঙ্ঘ দাবি, কৃষির উপকরণ বা সরঞ্জামের উপর জিএসটি চেপেছে, এতে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়করণ সেক্টরগুলিও জিএসটি কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রাকবাজেট বৈঠকের সব মহল একই সুরে সুর মিলিয়েছে। সকলেরই বক্তব্য, কর্মসংস্থান নেই, মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়া, গ্রামীণ অর্থনীতি তলানিতে, তাই গ্রামীণ ভারতে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা না বাড়লে অর্থনীতির আঁধার ঘুচবে না। ধাপ অথবা স্ল্যাব বদলে অর্থমন্ত্রীর কাছে আয়করকে আরও বাস্তবসম্মত করার নিদান দিচ্ছেন সকলে। জিএসটি বাণিজ্যকে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে। সরকারকে তা বারবার বলা সত্ত্ববেও জিএসটি কাউন্সিল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এককথায়, বণিকসভা, শিল্পমহল এবং কৃষি ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির দাবি মানতে হলে কর কাঠামোয় রদবদল আনতে হবে মোদী সরকারকে। ফলে ক্রমেই অর্থমন্ত্রকের উপর চাপ বাড়ছে।