নিজের পরিণতির আশঙ্কা করে পুলিশকে জানিয়েছিল শ্রদ্ধা- দেখে নিন সেই চিঠি
শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যা মামলায় একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, জানা যাচ্ছে আফতাবের খুনি মানসিকতার পরিচয় নাকি আগেই পেয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকার। আশঙ্কাও করেছিলেন, একদিন হয়ত তাকে খুন করতে পারেন আফতাব।
দু-বছর আগে আফতাবের হাতে মার খেয়ে মহারাষ্ট্রে কল সেন্টারের সহকর্মী করণকে হোয়াটসঅ্যাপে নিজের ক্ষতবিক্ষত মুখের একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা। ছবির সঙ্গে মেসেজে তিনি লিখেছিলেন, সেদিন নাকি আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে মারতে গিয়েছিল। সঙ্গে লিখেছিলেন আফতাব তাকে বলেছে, শ্বাসরোধ করে খুন করার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দূরে ফেলে দিয়ে আসবে। ছ’মাস ধরে শ্রদ্ধার গায়েও হাত তুলছে সে। কিন্তু পুলিশকে জানানোর মতো সাহস হয়নি তার। তাহলে নাকি আফতাব শ্রদ্ধাকে মেরেই ফেলবে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধাকে সেইভাবেই খুন করে টুকরো টুকরো করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছে আফতাব, মিলে গিয়েছে শ্রদ্ধার আশঙ্কা।
বুধবার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নেমে দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে, দু-বছর আগে আফতাবের হাতে মার খেয়ে মহারাষ্ট্রের ভাসাইয়ের তিলুঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধা। এক বছরের পরিচয়ে ভাসাইতে আফতাবের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে লিভ-ইনে থাকতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। সে সময় আফতাবের অত্যাচারের শিকার হন তিনি। অত্যাচার চরম আকার ধারণ করে, বাধ্য হয়েই ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর থানায় অভিযোগ করেন শ্রদ্ধা। সে সময় চোট নিয়ে এক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শ্রদ্ধা। আফতাবের বাবা-মা শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর লিখিত বিবৃতি দিয়ে শ্রদ্ধা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।