বিজেপি নেতাদের আচরণে মনে হচ্ছে বন্দে ভারত নয়, দলের রথ উদ্বোধন করতে আসছেন মোদী!
হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস । ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার এই দ্রুত গতির ট্রেনটি উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্পূর্ণ হয়েছে প্রথম ট্রায়াল রান। সোমবার দুপুর ১ টা ৪৭ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়িতে বন্দে ভারত পৌঁছায়।
কিন্তু এই বন্দে ভারত একস্প্রেস নিয়ে বঙ্গ বিজেপি যা শুরু করেছে, তাতে মনে হচ্ছে, বিজেপি’র কোনও রথের উদ্বোধন হচ্ছে! হাওড়ায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠে হিন্দি গানে উদ্দাম নাচতে দেখা যায় কয়েকজনকে। যাঁরা নিজেদের বিজেপি কর্মী-সমর্থক বলে বলে দাবি করেন।
শুক্রবার হাওড়া থেকে এনজিপি রুটের বন্দে ভারতের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রার সূচনা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রাীরা। দলের সাংসদ, বিধায়কদের ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সাংসদ, বিধায়কদের প্রথম ট্রেনে সওয়ার হওয়ার জন্য দলের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
আসলে বন্দেভারত থেকে রাজনৈতিক ফসল নিজেদের ঘরে তুলে নিতে মরিয়া বিজেপি। তাই দলের সাংসদ, বিধায়করা শুধুমাত্র ট্রেনে চড়েই ক্ষান্ত থাকতে চাইছেন না, তাঁরা নিজের নিজের এলাকায় সগর্বে নামতেও চাইছেন। তাই আব্দার শুরু হয়েছে বিভিন্ন স্টেশনে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দাঁড় করানোর। যদিও হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মাঝখানে শুধু মালদহ স্টেশনে থামার কথা এই দ্রুতগতির ট্রেনটির।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সাংসদ বা বিধায়ক দুইয়ের হিসাবেই দক্ষিণের তুলনায় বিজেপির শক্তি বেশি উত্তরবঙ্গে। ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বন্দে ভারত ট্রেনটি থেকে ডিভডেন্ট নিতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। ফলে শুক্রবারের উদ্বোধন ঘিরে তাদের অতিউৎসাহ দেখানোটাই স্বাভাবিক, তা যতই দৃষ্টিকচু হোক না কেন।