ইডেনে পেলের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন শ্যাম-আকবর-গৌতম-শিবাজীরা
দিনটা ছিল ১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। ইডেনে নেমেছিলেন ফুটবলের সম্রাট, সঙ্গে কসমস। উল্টো দিকে, মোহনবাগান। তিন কাঠির লড়াইয়ে সেদিন পেলেকে প্রায় মাত দিয়ে দিচ্ছিলেন শ্যাম-হাবিব-গৌতম-শিবাজীরা। কিন্তু যে যাত্রায় ম্যাচের ফল হয়েছিল ২-২।
পেলে আসার কারণে, সেবার যেন কলকাতায় পুজো এসেছিল খানিক আগেই। মানুষের মধ্যে উন্মাদনা ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। পেলের বিমান যেদিন দমদমে নেমেছিল, সেদিন তাঁকে দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছিল। ভিআইপি রোডে পাগলের মতো লোক ছুটছিল। এয়ারপোর্টে রীতিমতো ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। বিমানবন্দরের পিছনের গেট থেকে পেলেকে বের করা হয়।
খেলার আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল, কাদাভরা ইডেনে পেলে নেমেছিলেন। ইডেন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। যারা মাঠে উপস্থিত ছিলেন, তারা সারা জীবনের মতো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে রেখেছিলেন। কসমসের হয়ে বেকেনবাওয়ারেরও আসার কথা ছিল।পায়ের চোটের কারণে বেকেনবাওয়ার মাঝপথে ফিরে গিয়েছিলেন।
খেলায় কসমসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিল মোহনবাগান। কসমসের ফুটবলারদের কাদা মাঠে নাস্তানাবুদই করে ছেড়েছিলেন শ্যাম থাপা, আকবর, গৌতম সরকাররা। সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করেছিলেন, শ্যাম থাপা ও আকবর। পেলেকে রুখেছিলেন গৌতম সরকার, তে কাঠির নীচে ছিলেন শিবাজী। সেদিন মাঠের লড়াইয়ে কসমসের চেয়ে এগিয়ে ছিল সবুজ মেরুন। প্রায় জয় এসে গিয়েছিল। কিন্তু একেবারে শেষে রেফারি একটি বিতর্কিত পেনাল্টি দিয়েছিলেন পেলেদের পক্ষে, ফলে পেলেরা খেলায় সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। তখন ভার থাকলে কী হত বলা যায় না! আজও সেই ম্যাচ স্মৃতি হয়ে রয়েছে। পেলের সেই স্মৃতি বহন করে চলেছে কলকাতা।