সিনেমায় পেলে, পেলের সিনেমা
আপনি পেলেকে চেনেন না?
পেলে। ব্রাজিলের ফুটবলার, ব্যাক কিক করে গোল করত।
ভাবছেন কী পড়ছেন? যদিও বলি এটা আগন্তুক ছবির সংলাপ। মানিকবাবু এগুলোই বলিয়েছিলেন রবি ঘোষকে দিয়ে। আবার আটের দশকের কমেডি ছবি উৎপল দত্ত-অমল পালেকের গোলমালেও এসেছেন পেলে। আদপে পেলে হলেন সময়ের দলিল। গোটা একটা শতাব্দী পেলের স্মৃতি নিয়ে বেঁচে, ফলে আমাদের নিত্যদিনের কথা-বার্তায়, বইয়ের পাতায়, ছবিতে যে পেলে উঠে আসবেন তা খুব একটা আশ্চর্যের কিছু নয়। রুপোলি পর্দায় নানানভাবে এসেছেন পেলে, কখনও তাঁকে নিয়ে ছবি হয়েছে, কোথাও আবার তিনি ক্যামিও করতে পর্দায় অবতীর্ন হয়েছেন, আবার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংলাপেও উঠে এসেছেন পেলে।
১৯৮১ সালের ছবি এসকেপ টু ভিক্ট্রি এবং ১৯৮৬ সালের ছবি হটশট-এ পেলে অভিনয় করেন। সিলভেস্টার স্ট্যালোন অভিনীত এসকেপ টু ভিক্ট্রি ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধবন্দি ও জার্মানদের মধ্যে ফুটবল লেখার দৃশ্যে পেলে অভিনয় করেন। পেলে ছাড়াও অন্যান্য ফুটবলরাও ছিলেন। হটশট ছবিতেও পেলে ফুটবলারের চরিত্রে অর্থাৎ নিজের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
১৯৮৬ সালে ওস ত্রপালহস এ ও রেই দো ফুটবল নামে একটি পর্তুগিজ ছবিতে পার্ট করেন পেলে। ছবিতে তিনি একজন লেখকের ভূমিকায় অভিনয় করেন পেলে। ছবিতে একটি দুর্বল টিমকে দাঁড় করাতে তিনি তার বন্ধুদের সাহায্য করছেন, এই নিয়েই গল্প। ওস ত্রম্ব্দিনহোস ছবির কাহিনীকার ছিলেন পেলে, একই সঙ্গে ছবির গানের দায়িত্বও সামলেছিলেন পেলে। ক্যামেরার সামনেও এসেছিলেন পেলে। পেড্র মিকো নামের একটি ছবি করেন পেলে, যা ১৯৮৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। ওই একই বছর এ মাইনর মিরাকেল নামে একটি ছবিতে ক্যামোও রোলে দেখা যায় ফুটবল সম্রাটকে। লার্জার দ্যান লাইফ ছাড়াও একেবারে বাস্তবমুখী ছবিতেও ছিলেন পেলে। পেলের শুরু দিকে ছবি মার্চাতে পেলে যেন জীবনের গল্প বলা চরিত্র করেছিলেন। মানুষের সংগ্রাম, দরিদ্র মানুষের লড়াই উঠে এসেছিল ছবিতে, ছবিটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। ওস ত্রস্ত্রানহোসেও দেখা গিয়েছিল পেলেকে।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া পেলে বার্থ অফ এ লেজেন্ড ছবিতে নিজের ভূমিকায় রুপোলি পর্দায় হাজির হয়েছিলেন পেলে। ২০০১-এর সাই-ফাই সিরিজ টেলেনোভেলা ও ক্লোনের একটি এপিসোডে ছিলেন পেলে। এম বুস্কা দো পেন্টা গানেও রোনাল্ডোর সঙ্গে পেলেকে দেখা গিয়েছিল। মাইক ব্যাসেট:ইংল্যান্ড ম্যানেজারে মজার চরিত্রে ছিলেন পেলে। আসলে পর্দায় পেলের উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে সব সময় আলাদা উন্মাদনার সৃষ্টি করত। তাই বারবার চিত্রনির্মাতারা তাঁকে ব্যবহার করেছেন।