যবে থেকে ‘১০’ নম্বর জার্সি পেলের হল, যা এখন ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক
পেলের মাধুর্য ও প্রভাব টাচলাইন পেরিয়ে সাধারণ মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই অনুভূতি এত প্রবল যে পেলেকে ঘিরে জন্ম হয়েছে বিভিন্ন গল্প–গাঁথার। একবার তাঁর জন্য নাকি আফ্রিকায় যুদ্ধও থেমেছিল!
আবার পেলের ১০ নম্বর জার্সি নিয়েও আছে বিশেষ গল্প। যে ১০ নম্বর জার্সিকে পেলে-মারাদোনা থেকে শুরু করে আজকের মেসি-নেইমার-এমবাপেরা করে শ্রেষ্টত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরছেন। এর শুরুটা কিন্তু পেলের হাত ধরেই।
১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপের জন্য ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন ফিফার কাছে খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর ছাড়াই স্কোয়াডের তালিকা জমা দিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচে মাঠে নামতে হলে তো জার্সি নম্বর লাগবে। তাই টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ এলোমেলাভাবেই নম্বর ঠিক করে দেয়, সেভাবেই পেলের গায়ে ওঠে ‘১০।’
সেই সময় পেলে ছিলেন ১৭ বছরের তরুণ। এত বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। বিশ্বকাপের ওই দলে তার শুরুর একাদশে খেলার সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু সতীর্থের চোটে ভাগ্যক্রমে মিলে যায় তা।
সেদিনের তরুণ, অপরিচিত এক ফুটবলার বল পায়ে এমন জাদুর মুর্ছনায় ছড়িয়েছিলেন যে সাধারণ ১০ নম্বর জার্সিই হয়ে ওঠে ‘বিশেষ ১০।’ শেষ চারে তার হ্যাটট্রিকে ফ্রান্সকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। আর ফাইনালে পেলের জোড়া গোলে সুইডেনকেও একই ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব সেরার মুকুট পরে ব্রাজিল। চার ম্যাচে ৬ গোল, আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা; পেলের নাম লেখা হয়ে যায় স্বর্ণাক্ষরে। সেই শুরু পেলের বিশ্বজয়ী যাত্রার, একই সঙ্গে ১০ নম্বর জার্সিরও বিখ্যাত হয়ে ওঠার।
সেই থেকে পেলেও প্রেমে পড়ে যান দশের প্রতি, ক্যারিয়ারের বাকি সময়ে এই জার্সি পরেই মাতিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে পেলে নিজেও শুনিয়েছিলেন, তার ১০ নম্বর জার্সি পাওয়ার এই ঘটনার কথা।