বর্ষবরণের উৎসবের ভিড়ে কতটা ভয় করোনা সংক্রমণের? জেনে নিন
বর্ষবরণের আনন্দে জল ঢালতে পারে কোভিড? চীন থেকে একের পর এক ভিডিও ঘুরছে সমাজমাধ্যমে। গুজব ছড়াচ্ছে মুঠোফোনের মাধ্যমে। এরই মধ্যে আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত সরকার। সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্য সরকারও।
এদিকে ডক্টররা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন করোনার নতুন বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণই নেই। অনেক আগেই ওমিক্রনের বিএফ.৭ সাবভ্যারিয়েন্ট ভারতে ধরা পড়েছিল। আক্রান্তরা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। সংক্রমণ খুব একটা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েনি দেশে।
গত মঙ্গলবার রাজ্যের ৪০টি হাসপাতালে হয় মক ড্রিল। কেন্দ্রের নির্দেশমতোই সেদিন, কলকাতা থেকে জেলা হাসপাতালগুলিতে মক ড্রিল হয়। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকের ১০ তলা, দক্ষিণ কলকাতার এম আর বাঙুর হাসপাতাল, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজ ও ব্যারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালেও চলে মক ড্রিল।
কোভিডের নতুন ঢেউ আসতে পারে এই ধরে রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে মোকাবিলায় মহড়াও। সতর্কতার অন্যতম ধাপ টিকাকরণ। রাজ্যে করোনা টিকা কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের যোগান স্বাভাবিক করতে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত লক্ষাধিক কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে।
তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতকালীন উৎসব থেকে মকর সংক্রান্তি অবধি কোনও বিধিনিষেধ চালু হচ্ছে না বাংলায়। যদিও করোনা রুখতে বাংলার ৬ দাওয়াই হিসেবে ধরা হচ্ছে:
- জিনোম সিকুয়েন্সিং করা।
- হাসপাতালগুলির ভেন্টিলেটর ব্যবস্থার উপর নজর রাখা।
- এক লক্ষ টেস্ট কিট কেনা, পর্যাপ্ত পিপিই কিটের ব্যবস্থা করা।
- ওপিডিগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার ও নার্স রাখা।
- কোভিড বেডের সংখ্যার দিকে নজর রাখা।
- হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের যোগান বজায় রাখা।