দেশ বিভাগে ফিরে যান

কীভাবে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে, খোলসা করলেন খোদ RTI আন্দোলনকারী

January 1, 2023 | 2 min read

BJP-র বিরুদ্ধে সরব হওয়ার মাশুল গুনছেন সাকেত গোখলে? বিরোধীদের অভিযোগ, বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারে না বিজেপি তথা মোদী সরকার। মহম্মদ জুবের থেকে সাকেত গোখলে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোই বলে দেয় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খুব একটা অমূলক নয়। এবার সাকেতের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হল। ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাত পুলিশ সাকেত গোখলেকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে। এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে তিনবার গ্রেপ্তার করা হল আরটিআই আন্দোলনকারীকে। কিন্তু সত্যিটা কী?

আরটিআই কর্মী তথা তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্যে আওয়ার ডেমোক্রেসি প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছিলেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইট রয়েছে, তেমনই একটি হল আওয়ার ডেমোক্রেসি। সমাজকর্মীরা এই মাধ্যমটি ব্যবহার করেন। ২০১৯ সালে কানহাইয়া কুমার অর্থ সংগ্রহের জন্য এই আওয়ার ডেমোক্রেসি প্ল্যাটফর্মটিই ব্যবহার করেছিলেন। কয়েক মাস আগে জিগনেশ মেওয়ানিও একই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছিলেন। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্যে আওয়ার ডেমোক্রেসি একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। সাকেত সেই মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন। আওয়ার ডেমোক্রেসির মাধ্যমে অনলাইনে তিনি অর্থ সংগ্রহ করেন। কোনও নগদ টাকা তিনি নেননি, ওয়েবসাইট ব্যবহারের জন্যে তাদের নির্ধারিত ৫% চার্জও দিয়েছেন সাকেত। কে কে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জন্যে প্রচারে সাহায্য করেছেন, তাও সাকেত জানতে পেরেছেন। গোটা বিষয়টাই অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে মিটেছে।

সাকেত সাফ জানিয়েছেন শুধুমাত্র তহবিল সংগ্রহের জন্যই তিনি ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করেছিলেন। জায়েন্ট ট্রির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্থ সংগ্রহের কারণ হিসেবে সাকেত সবসময়ই জানিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর নিজের জন্যে টাকা সংগ্রহ করছিলেন। তিনি কখনই দাবি করেননি যে, আরটিআই করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। আদালতে মামলা লড়ার প্রতিশ্রুতিও তিনি দেননি। বিভিন্ন তথ্য ও নথি খোঁজার জন্যে তাঁর যে পরিশ্রম হয়, সেই পারিশ্রমিক বাবদ তিনি টাকা চেয়েছেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য। তিনি এমন দাবিও করেননি যে, এনজিও বা কোনো সংস্থার জন্য তিনি কাজ করেছেন। কখনই আমরা বলেননি, সব সময় বলেছেন নিজের জন্যে টাকা সংগ্রহ করছেন। সর্বপরি কাউকেই টাকা দিতে বাধ্য করা হয়নি। শ্বেচ্ছায় মানুষ টাকা দিয়েছেন।

ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের আয় কর রিটার্নও জমা দিয়েছেন সাকেত। অভিযোগকারীর অভিযোগ, সাকেত ৭৬ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছেন, কিন্তু এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। কেবল টুইটারে সাকেতকে আক্রমণ করা হয়েছে। ক্রাউড ফান্ডিং সংক্রান্ত কোনও নথি সাকেত কখনই আপলোড করেননি, তাই কিছু জাল করার প্রশ্নই আসে না। অভিযোগকারীর কাছে অর্থ প্রদানের কোনও প্রমাণ নেই।

বলাইবাহুল্য, বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়াই হয়েছে কাল। ​​প্রসঙ্গত, গুজরাতের মোরবি সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে গুজরাত সরকারের সমালোচনা করে একটি টুইট করেছিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র। তারপর থেকেই বিজেপির রোষে পড়েছেন তিনি। লাগাতার ভুয়ো, ভিত্তিহীন মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#RTI Activist, #Saket Gokhale

আরো দেখুন