বিনা প্রয়োজনে হর্ন নয়, শহর জুড়ে ‘নো হংকিং’ স্পেশাল ড্রাইভ পুলিশের
হর্ন বাজানো ক্রমে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন কিছু চালক, কারণ নেই অকারণেই বাজিয়ে দিচ্ছেন হর্ন। বিকট শব্দের হর্নে বিঘ্নিত হচ্ছে শহরের শান্তি। বাড়ছে শব্দদূষণ। বারবার সতর্ক করেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে। তাই এবার পদক্ষেপ করছে পুলিশ। গত সোমবার অনিয়ন্ত্রিত হর্ন ব্যবহার রুখতে পথে নেমেছে পুলিশ। ‘নো হংকিং’ স্পেশাল ড্রাইভ চলছে। অর্থাৎ বিনা প্রয়োজনে হর্ন নয়।
সোমবার শহরের বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ড এলাকায় হর্ন বিরোধী অভিযান হয়। হর্ন প্রবণ এলাকায় ট্রাফিক বিভাগের অ্যান্টি পলিউশন সেলের আধিকারিকরাও ছিলেন। জানা গিয়েছে, ৫৯ চালককে অপ্রয়োজনে ও নিষিদ্ধ মাল্টিটিউনড হর্ন বাজানোর অভিযোগে জরিমানা করেছে পুলিশ। ৩ জানুয়ারিও ‘নো হংকিং’ স্পেশাল ড্রাইভ করেছিল পুলিশ। ৪১ জনকে জরিমানা করেছিল লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, শিয়ালদহ ও উল্টোডাঙায় সবচেয়ে বেশি নিয়ম ভাঙার ঘটনা বেশি ঘটেছে। নিয়ম ভাঙার জন্য শিয়ালদহ ট্রাফিক গার্ড ৮ জনকে মোটা অংকের জরিমানা করেছে। উল্টোডাঙায় জরিমানা করা হয় ৬ জনকে। এছাড়াও হেড কোয়ার্টার, রিজেন্ট পার্ক, বিদ্যাসাগর সেতু, ডায়মন্ডহারবার, তিলজলা ট্রাফিক গার্ড এলাকায় কম বেশি হর্ন সংক্রান্ত ট্রাফিকবিধি লঙ্ঘনে বাইক ও গাড়ি চালকদের জরিমানা করা হয়েছে।
গোটা শহরজুড়ে অ্যান্টি পলিউশন সেল মোট ৩০ জনকে জরিমানা করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই বাইক চালক।
জানা গিয়েছে শহরে এখন থেকেই প্রায়শই এমন স্পেশাল ড্রাইভ চলবে। কোন কোন এলাকায় অনিয়ন্ত্রিত হর্ন বাজানো অভ্যাস বেশি তার দিকে নজর রাখা হবে। পরবর্তীকালে সেই এলাকাগুলোতে বেশি করে অভিযান করে পুলিশ। শহরের কোন কোন অঞ্চলে হর্ন বেশি বাজছে তা খুঁজতে ৩ ও ১৬ জানুয়ারির স্পেশাল ড্রাইভের পরিসংখ্যান নিয়ে বসেছেন ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার সুনীলকুমার যাদবের কথায় শহরের হাসপাতাল, স্কুল, কলেজের সামনে বিনা কারণে হর্ন বাজানো রুখতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গাড়ি চালকদের আরও সচেতন করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই স্পেশাল ড্রাইভ করা হচ্ছে।