ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক এবং সিরিয়া, মৃত্যু মিছিল দুই দেশে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার ভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক এবং সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকা। স্থানীয় সময় ভোর ৪টে বেজে ১৭ মিনিটে নাগাদ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের জেরে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। যদিও এখনও নির্দিষ্ট করে কোনও পরিসংখ্যান সামনে আসেনি। ভোররাতে যখন সকলে ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময়ে ভূমিকম্প হয়, ফলে মৃতের সংখ্যা যে বিপুল হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে, ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ফের দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন এলাকা। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। দ্বিতীয়টির উৎস ছিল মধ্য তুরস্কে, ৯.৯ কিলোমিটার গভীরে। তুরস্ক-সিরিয়ায় ৫ ঘণ্টায় ২২ বার আফটারশক হয়েছে।
ভূমিকম্পের ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ায়। একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কাঁদার লোকও নেই। ভেঙে পড়েছে অজস্র বাড়ি। মনে করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। ভূকম্পের পরেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী ও দমকল কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছন। সমাজ মাধ্যমে বিপর্যয়ের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৃষ্টিভঙ্গি।
মনে করা হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এখনও অনেকেই ধসের নীচে চাপা পড়ে আটকে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। দু-দেশের প্রশাসনের তরফে এখনও সরকারিভাবে কোনও হতাহতের খবর জানানো হয়নি। সরকারি বিবৃতি এলেই আমরা তা প্রকাশ করবো।