সিসৌদিয়ার গ্রেপ্তারিতে তৃণমূলের পর সরব শিব সেনা, জেডিইউরা, চুপ কংগ্রেস?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গতকাল অর্থাৎ রবিবার টানা আট ঘন্টা জেরার পর দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল তাকে। বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে, রাজনৈতিক বৈরিতা মেটানোর হাতিয়ার হিসেবে অবিজেপি দলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানো বই অন্য কিছু নয়। মণীশের গ্রেপ্তারিকে ঘিরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সবার আগে মণীশের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সরব হয় সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির কাছে নতি স্বীকার না করায়, মণীশকে কুর্নিশও জানান তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটারে তিনি লিখলেন, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকলে মণীশকে গ্রেপ্তার হতে হত না। নাম উল্লেখ না করেই মোদী এবং অমিত শাহকেও আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ। মোদী-শাহকে ‘বেপরোয়া জুটি’ বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ লেখেন, ‘বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করা বেপরোয়া জুটির প্রিয় কাজ।’
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। টুইটারে ডেরেক ও’ব্রায়েন আরও লেখেন, ‘শিবসেনা, অকালি দল, জেডিইউ, টিডিপি এবং অন্যান্য জোট সঙ্গীরা সকলেই বিজেপির সঙ্গত্যাগ করেছে। এখন বিজেপির সঙ্গী বলতে কেবল সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দপ্তর।’ তৃণমূলের পাশাপাশি মণীশের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব হয়েছে ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি। বিআরএস-এর কার্যকারী সভাপতি কে টি রামা রাও আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, বিজেপি কাপুরুষের রাজনীতি করছে। বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়ার ক্ষমতা নেই, তাই এসব করা হচ্ছে। মানুষ নিশ্চয়ই বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। শিব সেনা, আরজেডি’ও সরব এই ঘটনায়। জনতা দলের নেতা নীরজ কুমার বলেন বিজেপি বিরোধী নেতাদের বদনাম করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছে কংগ্রেস।
গ্রেপ্তারির পর প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হতে চলল, কিন্তু কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। দলগতভাবে বা এককভাবে রাহুল গান্ধী বা অন্য কোনও কংগ্রেসী নেতার তরফে একটি বাক্যও ব্যয় করা হল না। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের এই নিস্তব্ধতা কীসের ইঙ্গিত। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, বিরোধী দলগুলো যখন বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে, সে সময় কেন আলাদা ও বিচ্ছিন্ন হাত শিবির? তবে কি অহং নাকি আঁতাত? মণীশের গ্রেপ্তারি নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল।