বিশ্বজুড়ে কাজের চাপে ভেঙে পড়ছে ৬০% কর্মচারীর মানসিক স্বাস্থ্য, বলছে সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা চিন্তিত হতেন না মানুষজন, কিন্তু হালে দিন বদলেছে। শরীরের পাশাপাশি মনের অসুখ যে কত মারাত্মক তা জানিয়ে দিয়ে গিয়েছে করোনাকালীন লকডাউন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ৬০ শতাংশ কর্মচারী মনে করেন, তাঁদের চাকরি তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। উচ্চ বেতনের চাকরি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। পাশপাশি তাঁদের বেতন কাটাও যাবে কি না এ বিষয়ের চিন্তা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যকে বিঘ্নিত করে। দ্য ওয়ার্কফোর্স ইনস্টিটিউট অফ ইউকেজি, ‘মেন্টাল হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক’ শীর্ষক ‘ম্যানেজারস অ্যান্ড মানি’ রিপোর্টে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ১০টি দেশের বিভিন্ন পদে চাকরি করা ব্যক্তিদের নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত চাপ প্রায় ৬৯ শতাংশের দাম্পত্য সম্পর্কের উপর প্রভাব প্রায়। সমীক্ষায় সামনে এসেছে আরও এক ভয়ঙ্কর সম্ভাবনার কথা, মানসিক চাপের কারণে বিশ্বব্যাপী ৪০ শতাংশ সি-লেভেল কর্মীরা নাকি আগামী এক বছরের মধ্যেই চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন কর্মী মনে করেন, কর্ম ক্ষেত্রের নেতিবাচক প্রভাব মনের উপর পড়ছে। স্ত্রীর থেকে নিজের আয় কম, এমন চিন্তায়ও অনেকেকে দিন কাটাচ্ছেন।
সমীক্ষা বলছে, কাজের কারণে ৪৩ শতাংশ মানুষ অধিকাংশ সময় সম্পূর্ণ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ৭৮ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, কর্মক্ষেত্রের অত্যাধিক চাপ তাঁদরে কর্মদক্ষতায় কুপ্রভাব ফেলছে। কাজের চাপ নাকি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলছে। কর্মীরা জানিয়েছেন, অত্যাধিক কাজের চাপ পারিবারিক জীবনকেও ব্যতিব্যস্ত করে দিচ্ছে। এমন ধরণের মানুষের সংখ্যা ৭১ শতাংশ। সমীক্ষা জানাচ্ছে, কাজের চাপ ৬২ শতাংশ মানুষের সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট করছে। ৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এই চাপের ফলে তাঁদের স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়ছে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কর্মীদের ৫৭ শতাংশ সাফ জানিয়েছেন, এক বছরের মধ্যে তাঁরা চাকরি ছাড়তে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ কর্মী, কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে চাকরি ছাড়তে চলেছেন বলে জানাচ্ছেন।