এভারেস্টে বরফে চাপা পড়ে আছে কোটি কোটি ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া! জানেন কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোটা পৃথিবীর পর্বতারোহীদের কাছে এভারেস্টর আকর্ষণ বোধহয় সবচাইতে বেশি। ফলে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবছর রক ক্লাইম্বাররা নিজেদের সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এভারেস্টের রোমাঞ্চকর অভিযানে হাজির হন। এই এভারেস্টেই বরফের নীচে চাপা পড়ে আছে কোটি কোটি ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া! নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন গবেষণা বলছে, মাউন্ট এভারেস্ট, আল্পসের মতো পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতমালাগুলিতে এমন লক্ষ কোটি জীবাণু বরফের নীচে ঘুমিয়ে আছে। পর্বতারোহীদের হাঁচি-কাশি থেকে, অথবা বরফে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ থেকে জীবাণু ছড়াচ্ছে পর্বতশৃঙ্গেও। তাছাড়া এখন পাহাড়েও দূষণ বাড়ছে। পর্বতারোহীদের বর্জ্য, খাবার, ফেলে দেওয়া প্যাকেট থেকে সংক্রামক জীবাণুরা জন্মাচ্ছে। তারা বরফের মধ্যেই চাপা পড়ে থাকছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাধারণত কম তাপমাত্রায় ভাইরাস বা যে কোনও অণুজীব দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। আর বরফের আধার হলে ভাইরাসদের জীবনীকাল অনেকটাই বেড়ে যায়। এইসব ভাইরাস কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। বেশিরভাগের নাম ও বৈশিষ্ট্যই জানা নেই বিজ্ঞানীদের। জলবায়ু বদলের প্রভাব ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার ওপর কতটা পড়ে তা জানার জন্যই এদের জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের গঠন বিন্যাস বের করা শুরু করেছেন গবেষকরা। হিমশীতল তাপমাত্রা থেকে উষ্ণ পরিবেশে নিয়ে এলে, ভাইরাসদের মধ্যে কোনও বদল হয় কিনা সেটা দেখতে চাইছে গবেষকরা।
মাইক্রোবিয়াল লাইফ বা অণুজীবদের নিয়ে বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের মহামারীর পরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াদের নতুন গোষ্ঠীর খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের গভীরে প্রাগৈতিহাসিক যুগের অণুজীবদের খোঁজ পেয়েছিলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা।