দুর্মূল্যের বাজারে আরও দাম বাড়তে চলেছে ওষুধের, বিপাকে সাধারণ মানুষ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফের দাম বাড়ছে ওষুধের৷ পয়লা এপ্রিল থেকে সম্ভবত কার্যকর হচ্ছে ওষুধের দাম বৃদ্ধির নয়া সিদ্ধান্ত৷ পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফেকটিভ এবং হৃদরোগের ওষুধের দাম ১ এপ্রিল থেকে বাড়তে চলেছে। ওষুধের দাম ১২ শতাংশ বাড়ানোর ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র৷ সেই অনুযায়ী দাম বৃদ্ধির কথা শীঘ্রই ঘোষণা করতে চলেছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)৷ মোট ৮০০টি ওষুধের দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় বিপাকে পড়তে চলছেন সাধারণ মানুষ।
এই নিয়ে টানা দু’বছর ওষুধের দাম বাড়াল NPPA। জ্বালানি এবং জিনিস্পত্রের আকাশ ছোঁওয়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই আবার দাম বাড়তে চলেছে ওষুধের। মধ্যবিত্তের দুর্ভোগের আশঙ্কা বাড়ছে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা। এদের জমানো টাকার বেশিরভাগ অংশই খরচ হয় ওষুধের পিছনে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে চিকিৎসার খর মধ্যবিত্তের ধরাছোঁওয়ার প্রায় বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই আঙ্গুল তুলছেন চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় সরকার কর্পোরেট ওষুধ ব্যবসায়ীদের অত্যধিক মুনাফা সুনিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে তাঁদের দাবি৷ তাঁদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার প্রতি বছরই পরিবর্তন করে৷ এর মধ্য দিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলি ওষুধের দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়৷ এই নির্দেশিকা অনুষায়ী অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে আর নেই৷ অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এতদিন সরকারের একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল৷ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির মাধ্যমে সরকার এবার সে নিয়ন্ত্রণটুকু তুলে নিল৷ ফলে ওষুধের দাম বেড়েছে এবং আরও বাড়বে।
ওষুধ নির্মাতা সংস্থাগুলির দাবি, ওষুধ তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে৷ ভারতে ওষুধের কাঁচামাল আমদানির খরচ অনেক বেড়েছে৷ এর সঙ্গে ওষুধ বাজারজাত করা থেকে পরিবহণের খরচও ক্রমবর্ধ্বমান৷ তাই তাদের তরফে ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন৷ অনেকের ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে৷ কিন্তু সংসার খরচ কমেনি৷ রান্নার গ্যাস বা ভোজ্য তেলে দাম বাড়ছে প্রতিদিনিই৷ বাজার-দোকানের খরচ সামলে ওষুধ কিনতেও যদি বাড়তি টাকা গুনতে হয়, তাহলে কী করে জীবন চলবে? প্রশ্ন অনেকের।