কাদের জন্য পর পর ছক্কা হাঁকিয়ে রাতারাতি তারকা বনে গেলেন রিঙ্কু?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত পাঁচ বছর ধরে খেলার সুবাদে তিনি কেকেআরের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু সিং। নিজেকে প্রমাণ করে প্রথম একাদশে জায়গাও পাকা করে নিয়েছেন। আর রবিবার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর অনবদ্য ইনিংসেই অবিশ্বাস্য জয় পেল কেকেআর।
রিঙ্কু সিংয়ের জীবনের গল্প কমবেশি সবারই জানা। আলীগড়ের এক নিম্নমধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। বাবা সংসার চালাতেন বাড়ি বাড়ি গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করে। কিন্তু কিছুতেই অভাব পিছু ছাড়ছিল না পরিবারটির। এর মধ্যেই রিঙ্কু ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গেছেন।
ক্রিকেট খেলে পুরস্কার হিসেবে অল্প যে অর্থ পেতেন, সেটা রিঙ্কু তুলে দিতেন বাবার হাতে। এমনও সময় গেছে, রিঙ্কু পরিবারের জন্য ঝাড়ুদার হিসেবেও কয়েকটা দিন কাটিয়েছিলেন আলীগড়ের মহল্লায়। কিন্তু ক্রিকেট ছাড়েননি।
এভাবে লড়াই করতে করতেই রিঙ্কু এখন আইপিএলের খেলোয়াড়। কাল তো গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়ে রিঙ্কু রীতিমতো তারকা বনে গেছেন!
গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন কলকাতার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জয়ের জন্য শেষ ৫ বলে ২৮ রান দরকার ছিল কলকাতার। বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালের ৫ বলে ৫ ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেরই অবিস্মরণীয় এক গল্প লিখেছেন রিঙ্কু। আর তাতেই এখন সকলেই মজে রয়েছেন। নিজের বদলে ‘পাঠান’-এর পোস্টারে রিঙ্কুর ছবি লাগিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ খান। আর শাহরুখকন্যা সুহানা? এখনও গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ জয়ের স্মৃতিতে বিভোর। তাঁর এই ইনিংসের ছবি শেয়ার করে সুহানা লেখেন, “অবিশ্বাস্য!”
কিন্তু এমন ছক্কা রিঙ্কু কীভাবে মারলেন? ছক্কাগুলো মারার জন্য কোথা থেকে অনুপ্রেরণা পান, সেই গল্প বলতে গিয়ে অভাব-অনটনের সেই দিনগুলোর কথাই বললেন রিঙ্কু, ‘আমার বাবা অনেক লড়াই করেছেন। আমি একটি কৃষক পরিবার থেকে এসেছি। যেসব মানুষ আমার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছে ও কষ্ট করেছে, মাঠের বাইরে মারা আমার প্রতিটি শট তাদের জন্য।’