তাপমাত্রার পারদ যতো ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, ততোই বিয়ার বিক্রিতে রেকর্ড গড়ছে রাজ্য
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এমনিতেই বিয়ারে অ্যালকোহলের মাত্রা কম থাকে বলে নানা উৎসব-অনুষ্ঠানে এই পানীয় খাওয়ার চল বেশি। গরমের দিনে তো কথাই নয়। ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিয়ে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তাই তাপমাত্রার পারদ যতো চড়েছে, বিয়ার বিক্রিও হুহু করে ততোটাই বেড়েছে।
গত বছরের তুলনাতেও এবছর আরও বেড়েছে চিল্ড বিয়ারের চাহিদা। রাজ্য সরকার সুত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষ বোতল বিয়ার। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে দাবি করছেন আবগারি দপ্তরের কর্তারা।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বিয়ার বিক্রি হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষে তা আরও ছাপিয়ে যাবে বলেই কর্তাদের ধারনা। জানা গিয়েছে, গত এক মাসে বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ কেস বিয়ার। প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ কেস বিয়ার বিক্রি হয়েছে গত এক মাসে। এক একটি কেসে ১২টি করে বোতল থাকে। অর্থাৎ, প্রতিদিন ৯ লক্ষ ৬০ হাজার বিয়ার বিক্রি হচ্ছে রাজ্যে। গত বছরের শুরুতেই নয়া আবগারি নীতি অবলম্বনের ফলে এরাজ্যে বিয়ার সহ অন্যান্য মদের দাম অনেকটাই কমেছে। সব থেকে বেশি দাম কমেছিল বিয়ারের। তার পর থেকেই বিক্রিও বাড়তে শুরু করে।
যার ফলে গত বছর এপ্রিল-মে মাস নাগাদ চাহিদা অনুযায়ী বিয়ারের সরবরাহ করতে কাল ঘাম ছুটেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কারণ রাজ্যের সব কটি বিয়ার প্ল্যান্ট গোটা মাসে ২৪ ঘন্টা চালালে তবে ৩০ লক্ষ কেস উৎপাদন করা সম্ভব। যা কার্যত অসম্ভব। সেই কারণে, গত বছরের থেকে শিক্ষা নিয়ে, এবছর আগে থেকেই বিয়ার মজুত করে রাখা হয়েছিল। ‘এবছর এখনও পর্যন্ত বাজার থেকে বিয়ার উধাও হয়ে যাওয়ার খবর আসেনি,’ এক আধিকারিক জানান। ফলে বলা ভাল, গত গরম বারছে রাজ্যের আবগারি শুল্ক ততো বাড়ছে। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় তিন হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধির ফলে এখন আবগারি শুল্ক গিয়ে দাঁডিয়েছে ১৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকায়।