ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের ৪০তম সিংহাসনআরোহী হিসেবে রাজ্যাভিষেক চার্লসের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ব্রিটেনের রাজা হিসেবে শপথ নিয়েছেন তৃতীয় চার্লস। ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের ৪০তম সিংহাসনআরোহী হিসেবে আজ শনিবার তিনি শপথ নিলেন। একই সঙ্গে রাজ্যাভিষেক হয়েছে চার্লসের স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলারও।
ক্যান্টারবুরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি রাজা চার্লসের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যাভিষেক শপথের আইনি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
রাজাকে আর্চবিশপ বলেন, নতুন রাজা যেন তাঁর শাসনকালে আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যান্ডের মর্যাদা বজায় রাখেন।
রাজা তৃতীয় চার্লস পবিত্র গসপেলে হাত রেখে শপথ নেন এবং আইনের শাসন ও চার্চ অব ইংল্যান্ডের মর্যাদা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেন।
এ ছাড়া একজন ‘একনিষ্ঠ প্রোটেস্ট্যান্ট’ হিসেবে দ্বিতীয় শপথও নেন রাজা তৃতীয় চার্লস।
এর আগে রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পৌঁছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলা। বাকিংহাম প্যালেস থেকে একটি ঘোড়ার গাড়িতে করে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে পৌঁছান তাঁরা।
রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের নেতা ও তারকারাও ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমবেত হয়েছেন। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে চার্লস ব্রিটেন এবং আরও ১৫টি দেশের রাজা হন।
প্রথামাফিক ক্যান্টারবুরির আর্চবিশপ তাঁকে মুকুট পরিয়ে দেন। পরে গোল্ড স্টেট কোচ নামের স্বর্ণখচিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে এক মাইল দীর্ঘ শোভাযাত্রায় অংশ নেন তিনি। এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাকিংহাম প্যালেসে ফিরেন রাজা চার্লস এবং রানি ক্যামিলা। এরপর তাঁরা বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফ্লাইপাস্ট (বিমানের মহড়া) দেখেন।
ঘটনাচক্রে, ব্রিটেনের রাজ্যাভিষেকে রানির মাথায় শোভা পায়নি কোহিনুর। রানি ক্যামিলা অভিষেক অনুষ্ঠানে যে মুকুটটি পরছেন, তা ১১২ বছরের পুরনো। ১৯১১ সালের রাজ্যাভিষেকে রানি মেরি এই মুকুট পরেছিলেন। তার পর মুকুটটি উঠছে রানি ক্যামিলার মাথায়। এতে কোহিনুর নেই। রাজা তৃতীয় চার্লসের মাথায় উঠবে সেন্ট এডওয়ার্ডের রাজমুকুট।
রাজার অভিষেকে কত খরচ হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানায়নি বাকিংহাম প্যালেস। তবে বিবিসি জানিয়েছে, সব মিলিয়ে খরচ প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা। গত রাজ্যাভিষেকের চেয়ে এই খরচের পরিমাণ স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বেশি। যদিও রাজা নিজে নাকি অতিরিক্ত ধুমধামের পক্ষপাতী ছিলেন না। তিনি ‘ছোট’ এবং ‘বাহুল্যবর্জিত’ অনুষ্ঠানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন সরকারই রাজ্যাভিষেকের খরচ বহন করে।