গদি রক্ষায় ‘মডেল বাংলা’-তে ভরসা রেওড়ি সংস্কৃতিকে দোষরোপ করা দ্বিচারী BJP-র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার জনসহায়ক সামাজিক প্রকল্পগুলোকে বারবার দোষারোপ করে এসেছে বিজেপি, শুভেন্দু, দিলীপ, সুকান্তরা লাগাতার সরব লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, বাংলার মানুষকে ভিখারি বানিয়ে ছেড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাঁদের। পিছিয়ে নেই কংগ্রেস, সিপিএম’ও, কিন্তু আজ গোটা ভারতজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারগুলি মডেল বাংলাকেই ফলো করছে। সরকারে আসার জন্যে ইস্তাহারেও বাংলার সরকারের প্রকল্পের অনুকরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সম্প্রতি সঙ্ঘের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে মুখ থুড়বে পড়বে শিবরাজের নেতৃত্বাধীন বিজেপি। গদি বাঁচাতে এখন বাংলার প্রকল্পের পথে হাঁটল বিজেপি। সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে তড়িঘড়ি শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার ‘মুখ্যমন্ত্রী লাডলি বহেন’ প্রকল্প আরম্ভ করল। এই প্রকল্পের আওতায় সে রাজ্যের বাসিন্দা মহিলারা প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পাবেন। ডবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশ সরকারের দাবি, মহিলাদের আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং পরিবারে তাঁদের গুরুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্প। খানিক স্মৃতি শক্তিতে ভরসা করে দেখুন বাংলাই প্রথম এমন বিবৃত দিয়েছিল লক্ষ্মী ভাণ্ডারের সময়।
এর আগে, বিজেপি হিমাচল প্রদেশেও নির্বাচনী ইস্তাহারে মহিলাদের মাসে এক হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল। কংগ্রেস, কর্ণাটক এবং হিমাচলে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ধাঁচে প্রকল্প চালুর কথা জানিয়ে ভোট চেয়েছিল। পাঞ্জাব, গোয়াতেও ইস্তাহারে এমন নজির ছিল। রাজস্থানেও এমন করা হচ্ছে। মোদী এই জাতীয় রাজনীতির নাম দিয়েছেন ‘রেওড়ি’ সংস্কৃতি, যার বিরোধিতায় তিনি নিজে সবচেয়ে সরব। অথচ গড় বাঁচাতে মোদীর দল বাংলা মডেলকেই বেছে নিয়েছে।
যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে ‘দিদি ক্যাফে’ নাম দিয়ে সস্তায় গরিবের জন্য খাবার বিক্রয় কেন্দ্র চালু হচ্ছে। বাংলায় মা ক্যান্টিনের মাধ্যমে প্রায় আড়াই বছর ধরে সাধারণ মানুষ মাত্র পাঁচ টাকায় খাবার খাচ্ছেন। আদপে বিরোধিতার জন্যেই বিরোধিতা করেন বঙ্গ বিজেপি, পরক্ষনেই নিজেদের গদি বাঁচাতে বাংলা মডেলকেই বেছে নিচ্ছেন তারা।