ভাঙনের মুখে শিন্দে-BJP জোট? ফের বোম্বাইয়ের বোম্বেটে দেখবেন মুম্বইবাসী?
নিউজে ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জনাদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক রাজ্য দখল করে বিজেপি, সৌজন্যে অপারেশন লোটাস। বিগত বছরগুলিতে ভোটে হেরেও দল ভাঙিয়ে রাজ্যে রাজ্যে সরকার গড়েছে বিজেপি। কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র সব জায়গায় এক ছবি। কিন্তু ক্রমে তা বুমেরাং হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে সরকার টিকিয়ে রাখা এখন মোদী-শাহের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
কর্ণাটকে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে চলতি বছর ভোটে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বিজেপি, তেমনই আভাস মিলছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মোদী-শাহের কপালে। সেরাজ্যের শাসক শিবিরে কোন্দল চরমে উঠেছে। জল্পনা ছড়িয়েছে, কার্যত ভাঙনের মুখে শিন্দে-বিজেপি জোট। উদ্ধবের শিবসেনাকে দু’টুকরো করে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারে এসেছিল। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই জোট সরকারের টিকে থাকা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিন্দে বনাম উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কোন্দল এখন প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। কোন্দল চলছিল অনেকদিন ধরেই। এখন তা প্রবল আকার নিয়েছে একটি বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রথম পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেকে মহারাষ্ট্রের সবথেকে প্রত্যাশিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রচার করেছেন শিন্দে। গোটা বিজ্ঞাপনে ছিল শুধু মোদী ও শিন্দের ছবি। এতেই বাড়ে ঝামেলা, বিজেপি নেতা তথা উপ মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের কথা শুধু লেখা ছিল, কোনও ছবি ছিল না। জিটিভি মেট্রিজের এক সমীক্ষাকে হাতিয়ার করে বলা হয়েছে, ফড়নবিশের জনপ্রিয়তা অনেক কম। কিন্তু এই ফড়নবিশই মহারাষ্ট্রে অপারেশন লোটাস চালিয়ে সরকার গড়েছেন। শিবসেনার বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন তিনিই। সেই তাঁকেই কিনা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বহীন হিসেবে প্রচার করছেন শিন্দে? উঠেছে প্রশ্ন।
ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে জোটের অন্দরে তুমুল ঝগড়া চলছে বলে খবর। যার জেরে বিগত দু’দিন যাবৎ সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করছেন ফড়নবিশ। শিন্দেকে এড়াচ্ছেন তিনি, যে অনুষ্ঠানে শিন্দের উপস্থিত থাকার কথা, সেখানে ফড়নবিশ যাচ্ছেন না। কী করবেন ফড়নবিশ? উত্তাল দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী।