কলকাতার কোন ক্লকটাওয়ারে রয়েছে বাংলা ডায়ালের ঘড়ি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র বড় বড় ঘড়ি। শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সেগুলি, কোনওটির বয়স দুশো, কোনওটির বয়স দেড়শো। সেন্ট পলস থেকে হাওড়া স্টেশন, জিপিও বিল্ডিং থেকে ধর্মতলার এলআইসি বিল্ডিং, পোর্ট ট্রাস্ট থেকে ভীম নাগের দোকান, সর্বত্রই রয়েছে পেল্লাই পেল্লাই ঘড়ি। এর মধ্যে ভীম নাগের দোকানের ঘড়িটি বাংলা ডায়ালের। তবে কলকাতায় আরও একটি বাংলা ডায়ালের ঘড়ি রয়েছে। সেটির দেখা মেলে মানিকতলা বাজারে।
কলকাতার অন্যতম পুরনো বাজার হল মানিকতলা বাজার, বয়সে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে এই বাজার। ১৮৮৯ সালে ব্রিটিশদের হাত ধরে তৈরি হয়েছিল বাজারটি। মানিকতলা মোড়ের ল্যান্ডমার্ক হয়ে গিয়েছে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী ক্লক টাওয়ারটি। আদপে এটি জার্মান ঘড়ি। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এই ঘড়ির ডায়ালে রোমান হরফের পাশাপাশি বাংলা ক্রমিক সংখ্যাও লেখা রয়েছে। ঘড়িটি দমে চলে, সপ্তাহে দম দিতে হয় ঘড়িটিকে। ঘড়িটি দেখভাল করেন কলকাতার ঘড়িবাবু স্বপন দত্ত।
মানিকতলা বাজারের ঘড়ির কাঁটা দেখলে মনে হবে ঘড়ি অচল। কিন্তু ১ মিনিট অন্তর সেই কাঁটার লাফিয়ে লাফিয়ে সরার কায়দাটাই সত্যিই অনবদ্য। আধ ঘণ্টা অন্তর একটা বেল আর বাকিটা সময় ধরে সেই কটা বেল পড়ে। তবে ঘড়ির ডায়ালে এমন বাংলা নম্বর কলকাতার আর কোনও টাওয়ার ক্লকে দেখা যায় না। আবার ডায়ালের গায়ে নম্বর লেখার সিস্টেম এ দিক সে দিক হলে ঐতিহ্য নষ্ট হয়। রোমান নম্বর লেখারও বিশেষত্ব রয়েছে।
ভাষ্য পাঠ: মধুরিমা রায়
সম্পাদনা: মোঃ রবিউল ইসলাম
তথ্য গবেষণা: সৌভিক রাজ