কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা, সেই কাজ করেছে SEC, সাফ জানাচ্ছেন রাজীব সিনহা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ ছিল গ্রাম বাংলার মত দানের দিন। গণতান্ত্রিকভাবে গ্রাম দখলের লড়াইয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট দানের হার ছিল ৬৬.২৮ শতাংশ। আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, তাঁর দায়িত্ব ছিল বাহিনীর ব্যবস্থাপনা করা। তিনি ব্যবস্থাপনা করে দিয়েছেন। এবার কে কাকে গুলি করবে, কে কাকে মেরে দেবে। সেটা দেখা পুলিশের কাজ। পুলিশ তদন্ত করবে, গ্রেপ্তার করবে। অর্থাৎ রাজীব সিনহা সাফ বলছেন, ব্যবস্থাপনা করেই তাঁর দায়িত্ব মিটে গিয়েছে।
নির্বাচনের দিনে মৃত্যু প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ভোটের দিন রাজ্যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পষ্টই জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা। তাঁর দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই কাজ করে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের হাতে রয়েছে ব্যবস্থাপনা। আমাদের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা, সাত দিন কাজ করছে।’’
মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এটা অপরাধ। অপরাধের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করবে, তদন্ত করবে। তিনি আশাবাদী, পুলিশ তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করবে। নির্বাচন কমিশনার সাফ জানান, যাঁরা জেলাস্তরে রয়েছেন, সন্ত্রাস আটকানোর দায়িত্ব তাঁদের। রাজীব জানিয়েছেন, অভিযোগ এলেই তিনি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএম, এসপিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাও কমিশনকে জানিয়েছেন তাঁরা। এবার পুলিশের দায়িত্ব, নিজের তাগিদে পুলিশ তদন্ত করবে। গ্রেপ্তার করবে।
এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব জানিয়েছেন, ফিল্ড থেকে আসা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ১২০০ থেকে ১৩০০টি অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে ৬০০ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, কোথাও ভোটদান আটকে গিয়েছে। কোথাও দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পেরেছে কমিশন।
সামগ্রিক ভোট সম্পর্কে ভোট চলাকালীন তিনি বলেন, পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট না এলে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে, নাকি অশান্তিতে হয়েছে, কোনটাই বলা সম্ভব নয়। সব শান্তিপূর্ণ হয়েছে এটা বলা যাবে না, অশান্তি হয়েছে তাও বলা যাবে না। দুই ২৪ পরগনা, কোচবিহারের দিনহাটা, মুর্শিদাবাদে কিছু অশান্তি রাজ্য বলেও জানান তিনি।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমগুলিতে যে’সব গণ্ডগোলের ঘটনা দেখা যাচ্ছে, সে’সব ছোট, মাঝারি, বড় ঘটনা মিলিয়ে প্রায় ৫০টা বুথ প্রভাবিত হয়। বাংলার প্রায় ৬১,৬০০টি বুথের মধ্যে এই ৫০টি বাদ দিলে; প্রায় ৬১,৫৫০টি বুথে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।