বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কাশ্মীর, কী অবস্থা ভূস্বর্গের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত রাজধানীসহ গোটা উত্তর ভারত। প্রবল বৃষ্টির জেরে জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাত, মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাও জলমগ্ন। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে উপত্যকায় ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে, একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঠুয়া জেলায় তিন শিশুসহ আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। জম্মুর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রামবান জেলার বহু জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ডোডা ও কিস্তোয়ার জেলার সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
বৃষ্টির জেরে চন্দ্রভাগা এবং তার উপনদীগুলি ফুঁসছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে কাটরাতে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ৩১৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শেষ চল্লিশ বছরে যা সর্বাধিক। এই কাটরার বেসক্যাম্প থেকে বৈষ্ণোদেবী দর্শনের জন্য যাত্রা শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। এখানকার হেলিকপ্টার ও ব্যাটারি গাড়ি বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জেলায় আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া উত্তরপ্রদেশের গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিতে চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। প্রবল বৃষ্টিতে গুজরাতের রাজকোট, সুরাত, গির-সোমনাথ জেলার বহু এলাকা জলবন্দি হয়ে পড়েছে। শেষ কয়েক ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করেছে। সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মহারাষ্ট্রের থানে, পালঘর, রায়গড়, রত্নাগিরিতে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। মুম্বইতে হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। থানের জলমগ্ন এলাকা থেকে ২৫০ পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ফের বৃষ্টি হওয়ায়, দিল্লিতে যমুনা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে।