মণিপুরে শিউরে ওঠা একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে, মাথা হেঁট হচ্ছে দেশের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দুই মহিলাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মণিপুর রাজ্য। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভারতজুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এর মধ্যে মণিপুরে আরও দুই মহিলাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের কাছে দায়ের করা এফআইআরের অভিযোগ অনুসারে গত ৪ মে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। দুই মহিলাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার এক ঘণ্টা পরেই আরও দুই মহিলাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়।
এই দুটি ঘটনা কেবল একই দিনে, কাছাকাছি সময়ে ঘটেছে, তা নয়। নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার মহিলারা সবাই কুকি সম্প্রদায়ের। মণিপুরে সে সময়ে স্থানীয় কুকি ও মাইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা চলছিল।
ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার দুই মহিলা সহোদর। তাঁদের বাবা স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। এফআইআরে বলা হয়েছে, দুই বোনের একজনের বয়স ২১ বছর। অন্যজনের ২৪ বছর। সংঘর্ষের সময় একদল মানুষ জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর দুই বোনকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়।
শুধু তাই নয়, এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই মণিপুরের আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হল। তাতে দেখা যাচ্ছে, মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার একটি বাড়ির সামনে বেড়া থেকে ঝোলানো রয়েছে এক যুবকের কাটা মাথা। সূত্রের খবর, মাথাটি যাঁর, তাঁর নাম ডেভিড থিয়েক, তিনি কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত। জানা গেছে, এই ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২ জুলাই। সেদিন কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে লড়াইতে প্রাণ গিয়েছিল ৩ জনের। তাঁদেরই একজন ছিলেন ডেভিড। বিজয়ের চিহ্ন হিসেবেই হোক, বা প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে, ডেভিডের দেহ থেকে মাথাটি কেটে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল একটি বাড়ির সামনের বেড়া থেকে। নেটমাধ্যমে সেই ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন মানুষজন।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের ঘড়ি এলাকায় যান চলাচলের রাস্তা আটকে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল মহিলা। তাঁদের সঙ্গে কয়েক জন পুরুষ থাকলেও বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মেয়েরাই। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। রাস্তা পুরোপুরি আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এমনকি, বিক্ষোভকারীরা রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। মূলত, ভিডিয়োকাণ্ডের প্রতিবাদেই পথে নেমেছিলেন ওই মহিলারা। তাঁদের হাতে আরএসএস-বিরোধী প্ল্যাকার্ডও দেখা গিয়েছে।