মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি বিরোধী জোটের, কী জানাল টিম INDIA?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অগ্নিগর্ভ মণিপুরে বিরোধী জোটের ২১ সাংসদ মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকে-এর সাথে সাক্ষাত করেছেন। এবং তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া একটি স্মারকলিপিতে “যেখানে ন্যায়বিচারের ভিত্তি হওয়া উচিত” সমস্ত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে শান্তি ও সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার করার অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
বিরোধী জোটের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে “শান্তি ও সম্প্রীতি আনয়নের জন্য, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং পুনর্বাসন সবচেয়ে জরুরী। মণিপুরে গত ৮৯ দিন ধরে আইন-শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ বিপর্যয় সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে তারা কার্যকরী ভূমিকা নেয়। শান্তি ও স্বাভাবিক জনজীবন পুনরুদ্ধারের জন্য মণিপুরের অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করুন,”। প্রতিনিধি দল চূড়াচাঁদপুর, ময়রাং এবং ইম্ফলের ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেছে এবং ত্রাণ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্ত সাথে মতবিনিময় করেছেন বলে জানা গেছে।
INDIA-র (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) প্রতিনিধি দলে কংগ্রেসের অধির চৌধুরী, তৃণমূলের সুস্মিতা দেব ছাড়াও আছেন জেএমএমের মহুয়া মাজি, ডিএমকের কানিমোঝি, আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী, আরজেডির মনোজ ঝা, আরএসপি নেতা এম কে প্রেমচন্দ্রন, জেডিইউ’র রাজীবরঞ্জন সিং (লালন) , সিপিআই নেতা পি সন্তোষ কুমার, সিপিএমের এ এ রহিম সহ অন্যান্যরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিরোধী জোট মণিপুরের জনগণের পাশে রয়েছে এবং মণিপুরের কাছে “প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে” সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। .
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, বৈঠকে রাজ্যপাল নিজেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি এও পরামর্শ দিয়েছিলেন যে আমরা সকলেই সমস্ত সম্প্রদায়ের সকল নেতাদের সাথে কথা বলে, সে কুকি বা মেইতেই হোক না কেন, সকল সম্প্রদায়ের এবং একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করার জন্য। জনগণের মধ্যে যে অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা সবাইকে একসঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে,”।
রাজ্যপালের কাছে বিরোধীদের স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রায় তিন মাস ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা “মণিপুর হিংসার প্রতি তাঁর নির্লজ্জ উদাসীনতা”-র কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত মণিপুরে “দুই সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ১৪০ জনেরও বেশি মৃত্যু, ৫০০ জনেরও বেশি আহত, ৫,০০০-এরও বেশি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঘরছাড়া ৬০,০০০ এরও বেশি মানুষ”