মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিধানসভায় অবস্থান BJP বিধায়কের! জানুন কেন
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার বিধানসভা ভবনে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নীচে একাকী অবস্থান করলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। সাদা শার্ট, নীল জিন্স ও কালো সানগ্লাস পরিহিত বিধায়ক আম্বেদকরের মূর্তির সামনে, হাতে নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া ‘সঙ্কল্প পত্র’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে ছিলেন। সাগরে অন্য আর একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘অনেক হয়েছে প্রতিশ্রুতি, এবার বাস্তবায়ন চাই।’ স্বভবতোই প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপির বিধায়ক কেন দলের বিরুদ্ধেই অবস্থানে বসেছেন, আবার প্রশ্ন তুলছেন খোদ মোদীর বিরুদ্ধে ।
তাহলে কী ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল বিজেপির ‘নির্বাচনী কৌশল’ ? ভোট এলেই গেরুয়া শিবির উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি হাওয়ায় ভাসিয়ে দেয়। এবারে রাজ্যসভায় পাঠানো হলো সেই দাবির অন্যতম দাবিদার অনন্ত মহারাজকে। এর আগেও পরপর কয়েকবার দার্জিলিং থেকে বিজেপির প্রতিনিধিরাই সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরও কেন পৃথক রাজ্যের প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে না? আর কবে হবে? এসব প্রশ্নে
উঠেই চলেছে।
ওদিকে আবার দিল্লিতে জন্তরমন্তরে ৪ আগস্ট থেকে তিনদিনের ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে আগুন দিতে সেখান গেছেন গোর্খা জনমুক্তি সুপ্রিমো বিমল গুরুং এবং রোশন গিরি। এই সভায় বিজেপির ম্যানিফেস্টো অনুযায়ী কী কাজ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে ধর্না হবে। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এবার অন্য কোনও পথ বেছে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে দার্জিলিং থেকে বিজেপির হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন যশবন্ত সিংহ। ২০১৪ সালে জয়ী হন বিজেপির এস এস আলুওয়ালিয়া। আর ২০১৯ সালের লোকসভায় জিতেছেন রাজু বিস্তা। এই ১৫ বছরে পাহাড়বাসীর সঙ্গে বারবার প্রতারণা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সরব হন বিষ্ণুপ্রসাদ।